প্রশাসনিক কর্মকর্তার সহযোগিতায় শত বছরের গাছ কাটার অভিযোগ
মোঃ হাফিজুর রহমান বাগেরহাট (ফকিরহাট) প্রতিনিধি
বাগেরহাটের ফকিরহাটে গতকাল রাতে ফকিরহাটের উপজেলা হাউজ বিল্ডিং এলাকার ইউনুস হুজুরের বাড়ির বিপরীত দিকের সরকারি রাস্তার উপর থেকে শতবর্ষী পুরানো বিরাট একটি শিরিষ গাছ কেটে নিয়েছে দুবৃত্তরা। সরকারি এ গাছটির আনুমানিক মূল্য হবে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। গাছটি কেটে নিয়ে ওই স্থানে বালু দিয়ে ঢেকে দিয়েছে দুবৃত্তরা। উক্ত গাছ লোপাটের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রবীর কুমার শীল এর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শতবর্ষী এ গাছটি দুই দিন ধরে কাঁটতে ৩/৪জন শ্রমিক কাজ করেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে ট্রলি যোগে গাছটি কয়েকটি টুকরা করে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ সকালে গাছের গোড়াটি বালু দিয়ে ভরাট করা দেখা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, উপজেলার নির্বাহী অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রবীর কুমার শীল প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে তার বাড়ি যাতায়াত করেন। ওই গ্রামেই তার বাড়ি। তিনি একাধিকবার মটরসাইকেল থামিয়ে গাছ কাটা শ্রমিকদের সাথে কথা বলেছেন। ঐ স্থানের পাশে থাকা একটি চায়ের দোকানে বসে একাধিকবার এ ঘটনা দেখেছেন। তারা জানান, প্রবীর কুমার শীলকে দেখে তারা ভেবেছিলেন গাছটি সরকারি নির্দেশে গাছটি কাটা হচ্ছে অথবা সরকারি টেণ্ডারে আইন মেনে গাছটি কাটা হচ্ছে। কিন্তু আজ জানা গেছে গাছটি দুইজন বিএনপি নেতা এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রবীরের সাথে যোগসাজে কেঁটে নিয়ে গেছে। তাঁরা জানান, প্রবীর শীল বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতার সাথে সু সম্পর্ক গড়ে ইচ্ছা মতো অফিস চালাতেন। একই উদ্দেশ্যে এখন বিএনপির কিছু নেতাদের সাথে সু সম্পর্ক গড়ার জন্য তিনি এসব কাজ করছেন। তার রুমে একটি রাজনৈতিক দলের কিছু নেতাদের নিয়ে আড্ডা নিয়মিত হয়। এসব কারণে গাছ কাটার বিষয় নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা নাম প্রকাশ বা কারো কাছে এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। চায়ের দোকানে তাদের মধ্যে কথোপকথন শুনে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে চাইলে তারা বিষয় টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি। তার বিরুদ্ধে পূর্বেও অনেক অভিযোগ রয়েছে যে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে পান খাওয়ার বিনিময়ে কাজ করেছেন যদি না দিতো তাহলে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে দলীয় প্রভাবের কারণে কেউ কিছু বলতে সাহস পাই নি তখন
প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রবীর কুমার শীল তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি