মোঃ রাজিব জোয়ার্দ্দারঃ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। দেশে এবং বিদেশে কিছু গণমাধ্যম দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়গুলো তুলে ধরছে। আমরা মনে করি, এটা একেবারেই সঠিক নয়।
তবে কিছু কিছু সমস্যা নিঃসন্দেহে তৈরি হয়েছে। এগুলো সম্প্রদায়গতভাবে নয়, রাজনৈতিক সমস্যা। এটার সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক দলের বিশেষ করে আমাদের জড়িয়ে একটা অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটার আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা বলতে চাই, এ ধরনের কোনো ঘটনার সঙ্গে বিএনপি জড়িত নয়। এমনকি কোনো সুস্থ ও স্বাভাবিক রাজনৈতিক দল এটার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে না। সম্পূর্ণভাবে একটা চক্রান্ত চলছে।নতুন করে অর্জিত স্বাধীনতা নস্যাৎ করার চক্রান্ত শুরু হয়েছে।
শনিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিগত আন্দোলনে সরকারি বাহিনী দিয়ে নৃশংসভাবে গণহত্যা করা হয়েছে। সেই গণহত্যার বিষয়ে আমরা কথা বলে এসেছি। অনেকে মনে করেছে আমরা এটা নিয়ে কিছু করছি না। আমরা এখন নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য জাতিসংঘের কাছে তদন্ত চেয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা চিঠি পাঠাবো। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেও চিঠি দেবো। এছাড়া আন্দোলন করায় আটক ৫০ প্রবাসীকে মুক্তির জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে (ইউএই) চিঠি দেবো।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, এত বড় একটি বিপ্লবের পরে কিছু সমস্যা থাকতেই পারে। স্বাভাবিক করা কঠিন কাজ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সব প্রাথমিকভাবে ভালো কাজ শুরু করেছেন। আশার আলো দেখতে শুরু করেছে মানুষ।
গণমাধ্যমকর্মীদের বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন না করার অনুরোধ জানান ফখরুল।