মাজেদুল ইসলাম হৃদয়, ঠাকুরগাঁও:
ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ১৫০ জন পাটবীজ চাষীদের প্রশিক্ষণে অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা ঝরনা বেগমের বিরুদ্ধে তদন্তে আসেন পাট অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও উপ-সচিব সৈয়দ ফারুক আহম্মদ ও পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা ও প্রকল্পের সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ ওসমান আলী শেখ।
মঙ্গলবার (০২ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ঢাকা হতে পাট অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক অতিরিক্ত সচিব দীপক কুমার সরকারের নিদের্শে পাটবীজ চাষী প্রশিক্ষণের অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা পাট উন্নয়ন সহকারী কর্মকর্তা ঝরনা বেগমের বিরুদ্ধে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিম আসে।
তদন্তকালে তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা অসীম কুমার মালাকার, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফছানা কাওছার, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা ঝরনা বেগম, কৃষক, স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষ সাক্ষীদের সাথে পাট বীজ চাষী প্রশিক্ষণে অনিয়মের বিষয়ে কথা শুনে প্রতিবেদন তৈরি করেন।
এ বিষয়ে পাট অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও উপ-সচিব সৈয়দ ফারুক আহম্মদ ও পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা ও প্রকল্পের সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ ওসমান আলী শেখ জানান, পাট চাষী প্রশিক্ষণ অনিয়মের বিষয়ে সরেজমিনে এসেছি। এ বিষয়ে জিরো ট্রলারেন্স পাট অধিদপ্তর কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা ঝরনা বেগম ভুল করেছেন। প্রত্যক্ষ সাক্ষীদের প্রতিবেদন প্রধান কার্যালয়ে জমা দেওয়া হবে। পরবর্তীতে উধ্বতন কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থান নিবেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুন বৃসহস্পতিবার ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পরিষদ হলরুমে উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাটববীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ শীর্ষক (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় পাটবীজ চাষী প্রশিক্ষণে ১৫০ জন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাটবীজ চাষীদের প্রশিক্ষল দেওয়ার কথা থাকলেও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ব্যতিত রাণীশংকৈল, পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভুয়া কৃষক ও আত্বীয় স্বজনদের নিয়ে পাটবীজ চাষী প্রশিক্ষনের সময় স্থানীয় সাংবাদিক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফছানা কাওছার এবং জেলা পাট কর্মকর্তা অসীম কুমার মালাকার ভুয়া কৃষকের তালিকা যাচাই বাচাই শুরু করলে ১৫০ কৃষকের মধ্যে ১২৩জন কৃষককে উপস্থিত পাওয়া গেলে তার মধ্যে, ৬৯ জন কৃষক বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ও ৫৪ জন কৃষক বহিরাগত উপজেলার পাওয়া যায়। পরে পাটবীজ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে স্থানীয় লোকজন হইচই শুরু করে। এক পর্যায়ে পাট চাষী প্রশিক্ষণ ভঙ্গ হয়ে যায়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে পাট অধিদপ্তরের নজরে আসলে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা হতে পাট অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক অতিরিক্ত সচিব দীপক কুমার সরকারের নিদের্শে পাটবীজ চাষী প্রশিক্ষণের অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা পাট উন্নয়ন সহকারী কর্মকর্তা ঝরনা বেগমের বিরুদ্ধে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদে আসে।