কবিতাঃ-
“””তীব্র দাবদাহ”””
লেখকঃ-
সাংবাদিক অতনু চৌধুরী(রাজু)।
বৈশাখে বহিছে উত্তপ্ত হাওয়া মেঘ নেই নীলাকাশে,
দমে দমে আসে হালকা বাতাস দাবদাহ আসে ভেসে।
প্রচণ্ড গরম কেড়েছে শরম লাজ লজ্জা ফেলে দিয়ে,
অর্ধ নগ্ন হয়ে নর নারী সবে কাটাচ্ছে তো খালি গায়ে।
বাহিরে যাওয়া বড়োই কঠিন প্রখর রোদের ভয়ে,
তবু ভূয়া ফাঁকা মানুষেরা সবে যাচ্ছে তো পেটের দায়ে।
দেহ ছাড়া যার নেই কিছু আর বেঁচে তো দেহের শ্রম,
খরা রোদে পুড়ে সেই করে কাজ মানে না কোন গরম।
কৃষক শ্রমিক মজুর জেলেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে,
প্রচণ্ড উত্তাপে কাজ করে তারা মাঠে ঘাটে জন দিয়ে।
ধান কাটা মলা মাড়াই শুকানো সব করে রোদে ফেলে,
ঘামতে ঘামতে দেহ খানি তার ঘেমে যায় দেহ গলে।
পেটের জ্বালায় তারা খেটে খায় শুধু বাঁচবার ত্বরে,
বাঁচতে গিয়েই হারাচ্ছে জীবন কে কার খোঁজটা করে।
গ্রীষ্মের দুপুরে পেটে নিয়ে ক্ষুধা তৃষ্ণার্ত কৃষক ভাই,
ফসল কাটতে ক্ষেতের মাঝারে প্রাণ পাখি আর নাই।
হটস্ট্রক করে কতো জন মরে শ্রমিক ও কৃষকেরা,
তাদের খবর রাখেনা তো কেউ দেশের রিপোর্টারেরা।
অথচ যাদের শ্রমের ফসল দেশবাসী মিলে খাই,
তাদের মাথার উপরে কাঁঠাল রেখে তো ছড়ি ঘুরাই।
এসি গাড়ি বাড়ি মহাকাশে পাড়ি যার শ্রমে পেট ঠান্ডা,
না ফলালে তারা ক্ষেতেতে ফসল হয়ে যেতে হতো সাণ্ডা।
প্রচণ্ড উত্তাপে এই দাবদাহে কেমনে কাটাচ্ছে তারা,
প্রকৃতি তাদেরে বাঁচিয়ে রেখেছে দিয়ে বায়ু রোদ খরা।
বাবু সাহেবেরা ফ্যানের বাতাসে এসি রুমে মরে যায়,
ওরা তো শুধুই রয়েছে বেঁচেই
ঈশ্বর আছে সহায়।
রচনাকালঃ ২৯/০৪/২০২৪।