–
খুলনার দাকোপের বাজুয়া রায়পাড়া থেকে বেড়েরখাল, চাঁদপাড়া, দাকোপ ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা খুঁড়ে বালি ও ২ নাম্বার খোয়া দেওয়ার পর কাজ ফেলে রাখায় অবর্ণনীয় জনদুর্ভোগে পড়েছে গ্রামবাসী। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালিপনা আর চরম উদাসীনতায় দুর্ভোগে পড়েছে সড়কের আশপাশ গ্রামের মানুষ। রাস্তার উপরে ২-৩ নাম্বার ইটের খোয়া দিয়ে ফেলে রাখায় রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচলের সময় ধুলো উরতে থাকায় রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় ধুলোতে চোখ বুঝে যায় পথচারী ও আশেপাশের লোকজনের যেন জনদুর্ভোগের সীমা নেই। বেড়েরখাল গ্রামের বাসিন্দা মোটরসাইকেল চালক অসীম রায় বলেন রাস্তায় পিচ ঢালায় না হওয়ায় আমাদের দূর্ভোগের শেষ নাই আমরা কার কাছে জানাবো আমাদের দুঃখের কথা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এমন কর্মকান্ডে হাজার হাজার মানুষের চলাচলসহ স্কুলগামী শিশুরা পড়েছে চরম বিড়ম্বনায়। উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, খুলনা বিভাগের পল্লী উন্নয়ন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার বাজুয়া ইউনিয়নের দাকোপ ব্রিজ থেকে বেড়েরখালের স্কুলের ব্রিজ হয়ে রায়পাড়া এদিকে কৈলাশগঞ্জের গোলের খালের ব্রিজ হতে সুরেনবাবুর বাড়ির সামনে দিয়ে মসজিদ, মাদ্রাসার সামনে দিয়ে ধোপাধি স্টেডিয়াম পর্যন্ত এক কিলোমিটার পিচের রাস্তা উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্ধ হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খুলনার ২০২২ সালের ৩০ জুন কার্যাদেশ পান। ৭ জুলাই রাস্তার ইট তুলে বালি ভরাটের জন্য খননকাজ শুরু করেন। অল্প সময়ে খনন কাজ শেষ হলেও বালি ভরাট না করে প্রায় ৬ মাস ফেলে রাখেন। স্থানীয়দের চাপে বালি ভরাট কাজ শুরু করলেও শেষ না করেই ফেলে রেখেছে ঠিকাদার। বৃষ্টির মৌসুমে খুঁড়ে রাখা মাটি ও বালি মিশে রাস্তা চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মাদ্রাসা ও স্কুলগামী শিশুসহ গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচল করতে চরম বিড়ম্বানায় পড়তে হচ্ছে। এদিকে রৌদ্র হলে ধুলো বালিতে চোখ বন্ধ হয়ে যায় পথচারীদের। গত মে মাসের ৩০ তারিখ কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। গোলের খাল মসজিদ ও মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, এক বছর পার হয়ে গেল, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ না করে ফেলে রাখায় গ্রামের মানুষের চলাচলে খুব সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য সুবেন্দ্রনাথ বুলু রপ্তান বলেন, রাস্তা খুঁড়ে রাখার কারণে এলাকার মানুষের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। আমি ঠিকাদারকে কয়েকবার বলেছি দ্রুত কাজটি শেষ করার জন্য কিন্তু এখন ঠিকাদারের কোনো খোঁজ নেই। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানান, কাজটি একজনকে সাবকন্ট্রাকে দিয়েছিলাম। সে কাজটি না করে ফেলে রেখেছে। বিষয়টি আমি জেনেছি। তার সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজটি দ্রুত শুরু করার চেষ্টা করছি। উপজেলা প্রকৌশলী জানান, ঠিকাদারকে বারবার তাগাদা দিয়ে কাজ করাতে পারছি না। কয়েকবার তাদের চিঠি দিয়েছি। তারপরও তারা কাজ করছে না। ইতিমধ্যে কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। কার্যাদেশ বাতিল ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। তবে এলাকাবাসী অবহেলিত কাঁচা রাস্তাটিতে পিচের রাস্তা করে চলাচলের উপযোগীর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।ë