মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ– দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনার ছয়টি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য হতে চান ৫৪ নেতা। গত মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৫৪ নেতা মনোনয়নপত্র কিনে জমা দিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে খুলনা-২ আসনে (সদর-সোনাডাঙ্গা) নৌকার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল। নৌকার মনোনয়ন পেতে তাঁর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। অর্থাৎ অন্য পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রত্যাশী ৫৩ নেতা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী আগ্রহী খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে ১৫ জন। এরপর আছে খুলনা-৫ আসনে ১৩ জন। একজন প্রার্থী দুটি আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আজ ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এসব আসনে দলটির প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে। আওয়ামী লীগের দপ্তরের তথ্য পাওয়া অনুযায়ী, খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) মনোনয়ন প্রত্যাশী ১০ জন। তারা হলেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস, সাবেক সংসদ সদস্য ননী গোপাল মন্ডল, কেন্দ্রীয় সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, বটিয়াঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খান, আওয়ামী লীগ নেতা বিনয় কৃষ্ণ রায়, নান্টু রায়, শ্রীমান্ত অধিকারী রাহুল, সনত কুমার বিশ্বাস, সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমার রায় ও চালনা পৌর মেয়র অচিন্ত্য কুমার মন্ডল। খুলনা-৩ (খুলনা মহানগরের খালিশপুর ও দৌলতপুর থানা) আসনে বর্তমান এমপি ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, মহানগর সদস্য অধ্যাপক রুনু ইকবাল বিথার, নগর আওয়ামী লীগের যুব ক্রীড়া সম্পাদক ফারুক হোসেন হিটলু, দৌলতপুর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী ও প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা শেখ বাদল আহমেদ। এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রনেতা ও নগর আওয়ামী লীগ ফারুক হাসান হিটলু বলেন, ‘খুলনা শিল্পাঞ্চলখ্যাত খালিশপুর, দৌলতপুর ও খানজাহান থানা এলাকায় সাধারণ মানুষ, দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করছি। দল মনোনয়ন দিলে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। খুলনা-৪ (রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া) আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী, বর্তমান এমপি আব্দুস সালাম মূর্শেদী, স্পেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রিজভী আলম, সাবেক এমপি প্রয়াত এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার ছেলে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম খালিদীন রশিদী সুকর্ণ, জেলা সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, মো. কামরুজ্জামান জামাল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য মো. নুর আলম, নগর যুবলীগের সভাপতি মো. শফিকুর রহমান পলাশ ও সাবেক এডিশনাল আইজিপি মারুফ আহমেদ। খুলনা-৫ ( ডুমুরিয়া- ফুলতলা) সংসদীয় আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা সরোয়ার, জেলা তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক অজয় সরকার, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহসভাপতি মো. মাহাবুব-উল ইসলাম, বি এম এ সালাম, ডা. গনি মোল্যা, সরদার আবু সালেহ, ইঞ্জিনিয়ার মৃণাল কান্তি জোয়ারদার, শেখ আকরাম হোসেন, অ্যাডভোকেট প্রতাপ কুমার রায়, আজগর বিশ্বাস তারা ও চৈতালী হালদার। খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মো. আখতারুজ্জামান বাবু, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট সোহরাব আলী সানা, জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার প্রেম কুমার মন্ডল, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ রাশেদুল ইসলাম রাসেল, কয়রা আওয়ামী লীগ সভাপতি জি এম মহসিন রেজা, উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মনিরুল ইসলাম, পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইকবাল মন্টু, আওয়ামী লীগের জেলা স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার জি এম মাহবুবুল আলম, সাবেক পাইকগাছা উপজেলা সভাপতি মো রাশিদুজ্জামান মোড়ল, সাবেক ছাত্রনেতা মো. সাইফুল্লাহ আল মামুন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো. খাইরুল আলম ও যুবলীগ নেতা এস এম রাজু।জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম খালিদীন রশিদী সুকর্ণ বলেন, আমার বাবা এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা আমৃত্যু দল ও মানুষের জন্য কাজ করেছেন। আমি তাঁর দেখানো পথেই হাঁটতে চাই। গেল কয়েক বছর ধরে নিবার্চনী এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে কাজ করতে চেষ্টা করেছি। বাড়ি উঠান বৈঠক, সভা, সংকটে ও সমস্যায় পাশে থেকেছি। দলের কাছে মনোনয়ন চেয়েছি। দলীয় প্রধান যে সিদ্ধান্ত দিবেন, সেই অনুযায়ী কাজ করব।