মোঃ রাসেল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি: হাতির পিঠে বসে আছে ২৪ বছর বয়সী এক যুবক। এ- দোকান ও দোকান ঘুরছে হাতি। আর হাতি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে সোজা দোকানির কাছে। যতক্ষণ পর্যন্ত শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দিচ্ছেন, ততক্ষণ শুঁড় তুলছে না হাতি। টাকা দিলেই শুঁড় তুলে জানাচ্ছে সালাম।
এভাবেই প্রতি দোকান থেকে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে। শুধু দোকানেই নয়। রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন থামিয়েও তোলা হচ্ছে টাকা।
সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসদরের বাজারে এরকম অভিনব কায়দায় প্রায় সময়ই টাকা তুলে নেয়া হচ্ছে হাতির মাধ্যমে।
শনিবারসহ গেলো কয়েক মাস ধরে কিছু দিন পর পর দেখা গেছে পৌরসদরের বাজারে হাতি দিয়ে টাকা তোলার দৃশ্য। রাস্তার দুই পাশে বাজারের প্রতিটি দোকান থেকে তোলা হচ্ছে টাকা। হাতি দিয়ে গাড়ি আটকিয়েও টাকা আদায় করা হচ্ছে। চাঁদাবাজির এ দৌরাত্ম্যে থেকে বাদ পড়ছে না মোটরসাইকেল, মহেন্দ্র ও অটোরিকশা চালকরাসহ স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরাও। টাকা না দিলে হাতি বিকট শব্দে হুংকার দিচ্ছে এবং যেখানে-সেখানে প্রস্রাব পায়খানা করে দিচ্ছে। বাধ্য হয়ে দোকানদার, গাড়ির চালক ও পথচারীরা ভয়ে টাকা দিচ্ছে।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা, গাড়ী চালক ও পথচারীরা। তারা বলেন- কয়েকদিন পর পর হাতি নিয়ে চাঁদাবাজি করতে আসে কলারোয়া বাজারে। এটা কোন ধরণের ব্যবসা? বিষয়টি খুবই বিরক্তিকর। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
স্থানীয় এক ইজিবাইক চালক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন- রাস্তায় প্রায় সময়ই হাতির চাঁদাবাজির কবলে পড়তে হয়। গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে শুঁড় এগিয়ে দেয়। টাকা না দিলে সামনে থেকে সরে না। তখন ভয়ে বাধ্য হয়েই টাকা দিতে হয়। হাতির পিঠে বসা যুবকের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। তিনি নাম ঠিকানা জানাননি। তবে হাতি নিয়ে এভাবে কেন টাকা নেয়া হচ্ছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন- টাকা না নিলে হাতিকে খাওয়াব কি? এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে- হাতি দিয়ে চাঁদা তোলার বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। তবে এরপর যদি আবারও কোনোদিন আসে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।