মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ- খুলনার দাকোপের চালনা সদর, বাজুয়া বাজারসহ উপজেলার প্রতিটি বাজারে ২০ টাকার আলুর কেজি এখন ৬০ টাকা পেঁয়াজে সেঞ্চুরি ওভার কেউ সিনেমা দেখে কাঁদে আর গরীব লোকজন বাজারে গিয়ে তরিতরকারির দাম শুনে কাঁদে। যেন দেখার কেউ নেই। বাজার ঘুরে দেখা যায় ৪০- ৫০-৭০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না সবজি, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ। ৩১ শে অক্টোবর মঙ্গলবার দাকোপ উপজেলার বাজুয়া বাজার ঘুরে দেখা যায় যে বিভিন্ন সবজি দোকান গুলোতে ৪০-৫০-৭০ টাকার নিচে কোন তরিতরকারি বিক্রয় করা হচ্ছে না। জানা যায়, পেঁয়াজ ১৩০-১৪০, বরবটি ৫০, আদা ২৪০, বেগুন ৫০-৬০, আলু ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, কফি ৫০, করলা ৬০, কচু ৮০, শিম ১৬০, টমেটো ১০০, পটল ৪০, ধনেপাতা ১২০, শসা ৭০, ডেরস ৭০, কাঁচামরিচ ১৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। চালনা থেকে বাজুয়া বাজারে এসে পাইকারি ব্যবসায়ী সোহেল কাজী বলেন, সম্প্রতি সারাদেশে টানা বৃষ্টিতে সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাজারগুলোতে সরবরাহ কমে গেছে। এতে সবজির দাম বেড়ে গেছে। পাইকারি বিক্রেতারা আরো জানান, সম্প্রতি ভারী বর্ষণের কারণে বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশের সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে বাজারে সবজি কম দেখা যাচ্ছে। যা এসব স্থান থেকে বাজুয়া বাজারে বেশির ভাগ সবজি আসে।
হাট কমিটির ইজারাদার বাবু সরদার বলেন, আবহাওয়া জনিত কারণে বাজারে সবজির আমদানি কমে গেছে। ব্যবসায়ীরা যেন উর্দু গতিতে কোন মালামাল বিক্রি করতে না পারে সেদিকে আমরা সব সময় নির্দেশনা দিয়ে থাকি।
এদিকে বাজারে মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৪০ টাকা করে। যা এক সপ্তাহ আগে ১২০ টাকা ছিল। নতুন দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। পাশাপাশি প্রতি কেজি সোনালি জাতের মুরগির বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা দরে। দেশি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা। আর প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ ও খাসির মাংস ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পাঙ্গাশ ১৮০, কই ও তেলাপিয়া মাছের কেজি ২২০ থেকে ২৮০ টাকা। প্রতি কেজি রুই, কাতলা, কালিবাউশ ও মৃগেল বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকায়। বাজুয়া বাজারে বাজার করতে আসা কৈলাশগঞ্জের ফুলমিয়া নামের এক ক্রেতা বলেন, বাজারে প্রত্যেকটি পণ্যের দাম অনেক বেশি। ৫০-৬০-৭০-৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। পাশাপাশি মাছ-মাংসের দামও অনেক। তাই, সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মধ্যেবিত্ত ও সাধারণ মানুষ। যে টাকা নিয়ে বাজারে এসেছিলাম তাতে ব্যাগের তলাও ভরছে না কি করবো খালি ব্যাগ নিয়ে বাড়ি ফিরছি। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে সবজির উৎপাদন কমে গেছে, বিভিন্ন সবজির জমি নষ্ট হয়ে গেছে। পরবর্তীতে যেন পুনরায় নতুন ভাবে সবজি চাষ করতে পারে আমরা বিভিন্ন নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ে দিয়ে আসছি। রবি মৌসুমে আরো সবজির উৎপাদন বাড়বে আমরা আশা করি উৎপাদন বেড়ে গেলে সবজির দাম আরো কমে আসবে।