মোঃ রাসেল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধঃ সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলায় সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের স্মরণে বাংলাদেশ আজ ২১ অক্টোবার রোজ (শনিবার) শোক পালন করছে। সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহ দিনটিতে শোক পালনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখছে। কিন্তু কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নে দুইটি মাদ্রাসায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জাতীয় পতাকা বিধিমালা ১৯৭২ (সংশোধিত ২০১০) অনুযায়ী এদিন সব সরকারি আধা-সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনে সুর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে। তবে৷ কলারোয়া উপজেলার জি, আর দাখিল মাদ্রাসা ও চন্দনপুর দাখিল মাদ্রাসায় মানা হয়নি জাতীয় পতাকা উত্তোলনের এই বিধিমালা।
স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, সকাল থেকে সেখানে কাউকে দেখা যায়নি। স্কুল তালা দেওয়া রয়েছে, সেখানে পতাকা উঠাবে কে।
পতাকা না উত্তোলনের বিষয়ে জি, আর বালিকার মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারকে ফোনের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন না করার বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান আমি অনেক দূরে ছিলাম আর আজকে ছুটির দিন ছিলো যার কারনে কেউ মাদ্রসার কাছে আসিনি মাদ্রাসার পাশে দণ্ডারির বাড়ি আমি যদি জানাতাম হইতো সে গিয়ে পতাকা উত্তোলন করতে পারিতো ভুল আমারি হয়েছে, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে পতাকা উত্তোলনে বিষয় কোন মেসেজ পেয়ে ছিলেন কিনা জানতে চাইলে বলেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে কোন মেসেজ পাননি।
এতে সরকারি আইন লঙ্ঘন হয়েছে বলেও স্বীকার করেন। তিনি। চন্দনপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোঃ মাসুম বিল্লাহ’র মোবাইল নম্বর ০১৭১০২৫১৬৮১ নম্বরে যোগাযোগ করিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। কলারোয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন আমি আপনার মাধ্যমে ঘটনাটি জানলাম আমি ঘটনাটি সত্য প্রমানিত হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করিবেন বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায় কে ফোনে মাধ্যমে অবহিত করিলে তিনি বলেন, ঘটনাটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বিষয়টি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য বলছি। দেখার জন্য বলা হয়েছে।