মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন ফার্মেসীতে সয়লাব হয়ে গেছে। ঐসব ফার্মেসী ব্যবসায়ীদের নেই কোন প্রশিক্ষণ, নেই কোন অভিজ্ঞতা। ঔষধ ব্যবসায় লাভ বেশি হওয়ার কারণে অধিকাংশ অনভিজ্ঞ বেকার যুবকেরা ঝুঁকে পড়েছে ঔষধ ব্যবসায়। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন বাজারে গড়ে উঠেছে ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন ফার্মেসী, যে ফার্মেসী গুলোতে বিভিন্ন কোম্পানির ঔষধ রেখে সাধারণ মানুষের সাথে অভিনব প্রতারণার এক রমরমা কারবার হয়ে উঠেছে। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঐসব ভূঁইফোড় ঔষধ ব্যবসায়ীরা ঔষধ বিক্রয়ের আড়ালে গ্রামের অধিকাংশ মানুষদের বিভিন্ন ভূয়া চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। ফলে ঐসব ভূয়া চিকিৎসা সেবা গ্রহন করাতে মানুষের শরীরে তৈরি হয় বিভিন্ন রোগ। পরে বড় বড় ডাক্তার দেখিয়েও রোগ আর ভালো হয়না। জানা গেছে, ঐসব লাইসেন্স বিহীন ফার্মেসীর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন না করায় যত্রতত্র নিত্যনতুন গড়ে উঠেছে ভূঁইফোড় ঔষধ ফার্মেসী। অন্যদিকে সাধারণ মানুষের ঔষধের সঠিক মুল্য সম্পর্কে ধারণা না থাকায়, সুযোগ বুঝে ফার্মেসী ব্যবসায়ীরা জনসাধারণের কাছে চড়া মূল্য নিয়ে গভীর প্রতারণা করে চলেছে। যা মনিটরিং বা আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন জরুরি হয়ে পড়েছে। এবিষয়ে অনুসন্ধানে গেলে উপজেলার শুভরাড়া ইউনিয়নের বাবুর বাজারে নিত্য নন্দ মন্ডল নামে এক ভূঁইফোড় ফার্মেসী ব্যবসায়ীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তার ড্রাগ লাইসেন্স আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন প্রকার সরকারি অনুমতি/লাইসেন্স পত্র দেখাতে পারেননি উল্টো এই প্রতিবেদককে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিতে থাকেন এবং অভয়নগরের বিভিন্ন নামি-দামি ব্যক্তির ভয় দেখাতে থাকেন। এমন নিত্য নন্দ মন্ডলের মতো অসংখ্য ভূঁইফোড় ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন ফার্মেসীতে উপজেলার সব স্থানে ছড়াছড়ি হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে নেওয়া হয়না কোন আইনগত পদক্ষেপ। ফলে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে উপজেলায় ফার্মেসী অবৈধ অনিয়ন্ত্রিত ঔষধ ফার্মেসীর ব্যবসা। জরুরি ভাবে ওই সব ভূঁইফোড় ঔষধ ফার্মেসীর বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য দাবি তুলেছেন সচেতন মহল। এবিষয়ে বাংলাদেশ ড্রাগ এন্ড কেমিস্ট এর অভয়নগর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শ্রী বিশ্বজিৎ সিংহ বলেন, ওই সব ভূঁইফোড় ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন ফার্মেসী ব্যবসা সম্পূর্ণ বেআইনি হলেও আমরা প্রসাশনকে অনেকবার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানালেও শুধু আশ্বাসের বাণী শুনেছি কিন্তু কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি, আর ঔষধ প্রসাশন যদি এগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আমাদের কিছুই করার নেই।