মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ– খ্রীস্টান থেকে ধর্মান্তরিত করে সনাতন ধর্মের রীতিতে বিয়ে করেন। বেশ কিছু বছর স্বামী স্ত্রী হিসেবে বসবাসের পরে এখন স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করছেন নগরীর খালিশপুরের বাসিন্দা নারী লোভী সৈকত সরদার। পরিবার-পরিজন হারিয়ে দিশেহারা ওই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রী বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। আর উল্টো সৈকত বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করছেন। দক্ষিণ খালিশপুর হালদারপাড়া এলাকার অমলেন্দু নাথ সরদার ও স্বপ্না সরদার দম্পতির ছেলে সৈকত সরদার। অপরদিকে প্রতারিত নারী খুলনার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
আইন-শৃঙ্খলার সদস্যের কাছে দেওয়া ওই নারীর অভিযোগ জানা যায়, দীর্ঘদিন প্রেমের ফাঁদে ফেলে “প” অদ্যাক্ষরের ওই ছাত্রীকে খ্রিষ্টীয় ধর্ম পরিবর্তন করে গত ২০২২ সালের ১২ আগস্ট সনাতন ধর্মমতে মন্দিরের পুরোহিতের মাধ্যমে সাঁখা-সিঁদুর পড়িয়ে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন। বিয়ের পরে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস শুরু করেন। যেটি সৈকতের পরিবারও জানতো। এরমধ্যে ওই নারী অন্ত:স্বত্তাও হয়ে পড়েন। কিন্তু গেল একমাস ধরে “প”-কে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করতে শুরু করেন সৈকত। বিভিন্নভাবে তাঁর হুমকি-ধামকিতে বর্তমানে ভুক্তভোগী চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
ভুক্তভোগী “প” জানান, বিয়ের পর আমাদের দাম্পত্য জীবন সুখেই কাটছিলো। কিন্তু সৈকত বিত্তবান পিতার ছেলে হওয়ায় তিনি বিভিন্ন নারীতে আসক্ত। বিষয়টির প্রতিবাদ করায় সৈকত “প”কে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। কিছুদিন আগে তিনি অন্ত:স্বত্তা হয়ে পড়লে নানা অজুহাতে পেটের বাচ্চা নষ্ট করতে বাধ্য করে। আর এরপর থেকেই সৈকত তাঁর কাছ থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ধর্মান্তারিত হয়ে পরিবার বিচ্ছিন্ন “প” বাধ্য হয়ে আইনি সহায়তার জন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবরে আবেদন করেছেন। সৈকত ও “প” অভিযোগ সম্পর্কে সৈকত সরদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে “প” এর সাথে তাঁর প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করলেও বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন। মন্দিরের পুরোহিতের কাছে গিয়ে বিয়ের বিষয় প্রশ্ন করলে সৈকত বলেন, বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে শীঘ্রই সমাধান হবে।