ইমরান হোসেন বিশেষ প্রতিনিধি
গত ২৭/৮/২০২৩ ইং তারিখ ঝালকাঠীর তিন বিএনপির নেতার সদস্য পদ স্থাগিত আদেশ প্রত্যাহার করায় ঝালকাঠীতে আনন্দের বন্যা বয়ে গেছে।
এই উপলক্ষে শত শত ফেইসবুক আইডি থেকে বিএনপির প্রাণ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান সাহেবকে কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এখন ঝালকাঠী জেলা বাসীর প্রাণের দাবী দক্ষিণ বাংলার বিএনপির বয়োজ্যেষ্ঠ প্রতিষ্ঠাকালিন নেতা ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর বীর উত্তম কে স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দেখার দাবি জানায়।
সংক্ষেপে ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর এর বিএনপির রাজনৈতিক জীবনের ঘটনা প্রবল অল্প কিছু বিবারন দিলাম।
১৯৭৯ সালের পূর্বে শহীদ প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন।
এবং ১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় যুক্ত হয়ে নিজ কর্মের মাধ্যমে এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেন।
১৯৮২ সালে স্বৈরাচার এরশাদ ক্ষমতা দখলের পর বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে জাতিয় পাটিতে ভেরাবার চেষ্টা ব্যার্থ করে দিয়ে নিজেকে সাচ্চা বিএনপির নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।
এরপর এরশাদ অব্যাহত মন্ত্রিত্বের টোপ দিয়ে চাপদিতে থাকে।
এটা এরাবার জন্য তিনি ব্যারিস্টারি পড়তে লন্ডন যান।
ব্যারিস্টারি পড়ে লন্ডন থেকে ফিরেই ভঙ্গুর ঝালকাঠী জেলা বিএনপির নেতৃত্ব হাতে নেন।
উনার নের্তৃত্বে ঝালকাঠী জেলা বিএনপি এরশাদ বিরোধী প্রবল আন্দোলন গড়ে তোলে।
এমন কি এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ব্যারিস্টার শাজাহান ওমররের নের্তৃত্বে আমরা ঢাকা সেক্রেটারি ইয়েট ঘেরাও সহ অনেক আন্দোলনে যোগ দেই।
ম্যাডাম খালেদা জিয়া নিজেই উপস্থিত থেকে সেইসব আন্দোলনে মূল নের্তৃত্ব দিতেন।
তার ফলশ্রুতিতে ১৯৯১ সালে সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠী ১ ও ২ আসন বিএনপি বিপুল ভোটে জয় লাভ করে।
২০০৬ সালের বিএনপি ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকেও অনেক লোভ লালসা ত্যাগ করে শহীদ জিয়ার সৈনিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন।
বিএনপি প্রাণ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারের রহমান সাহেবের নিকট ঝালকাঠী জেলা বাসীর প্রাণের দাবী অবিলম্বে ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর বীর উত্তম কে স্থায়ী কমিটির সদস্য অন্তর্ভুক্ত করে চির কৃতজ্ঞতায় বাধিত করবেন।
লেখকঃ- মাহফুজ হোসেন জুয়েল
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি
জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল
ঝালকাঠী জেলা।