চাঞ্চল্যকর মেহেদী হাসান হত্যা মামলার প্রধান পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬,
মোল্লা জাহাঙ্গীর আলম -খুলনা //
চাঞ্চল্যকর মেহেদী হাসান হত্যা মামলার আসামীদের সাথে ভিকটিমের দীর্ঘদিন ধরে টাকা পয়সা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো।
পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ৯ জুলাই ২০২৩ইং তারিখ আসামী মোঃ সাদ্দাম হোসেনসহ তার সহযোগীরা ভিকটিমের বাড়িতে প্রবেশ করে ভিকটিম মেহেদী হাসনকে ডেকে বাইরে নিয়ে আসে।
আসামীর সাথে ভিকটিমের পূর্বের টাকা পয়সা লেনদেন এর বিষয়কে কেন্দ্র করিয়া ভিকটিমকে ধৃত আসামীসহ সহযোগী আসামী (দুইভাই) মিলে পরি কল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরি দিয়ে গলার শ্বাসনালী কাটাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলো পাথারী ভাবে কোপাইয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।
ভিকটিম মেহেদী প্রান বাঁচানোর জন্য ধ্বস্তাধস্তির এক পর্যায়ে গলায় কোপ লাগা অবস্থায় তার ডাক ও চিৎকারে মোবারক আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় আসলে স্থানীয় লোকজন ভিকটিম মেহেদীকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিম মেহেদীকে মৃত ঘোষনা করে। উক্ত হত্যাকান্ডের বিষয়টি বিভিন্ন মিডিয়াতে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
এ বিষয়ে ভিকটিম এর মাতা গত ০৯ জুলাই ২০২৩ তারিখে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার বিষয়ে র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং উক্ত হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতারে র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ জুলাই ২০২৩ তারিখ র্যাব-৬, ঝিনাইদহ একটি আভিযানিক দল গোপন তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, উক্ত হত্যা মামলার প্রধান পলাতক আসামী- সাদ্দাম হোসেন ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানা এলাকায় গোপনীয়ভাবে অবস্থান করছে।
প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে র্যব-৬ এর আভিযানিক দলটি র্যাব-১৪ এর সহযোগীতায় ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানা এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যা মামলার প্রধান পলাতক আসামী- মোঃ সাদ্দাম হোসেন(৩৫), থানা- কালীগঞ্জ, জেলা- ঝিনাইদহকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।