কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ’র ৩২’তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত।
মোঃ হাফিজুর রহমান
’ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’ গানের স্রষ্টা, তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (২১ জুন)সকালে মোংলার উপজেলার মিঠাখালীতে রুদ্র স্মৃতি সংসদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যৌথ আয়োজনে স্মরণানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহিত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের আপোষহীন শিল্পযোদ্ধা। রুদ্র জীবনাচরনে ও শিল্পাচরনে আবহমান বাঙালীর ঐতিহ্য সম্মত মুক্ত মানবের মুক্ত বিনির্মানের সাহসী শব্দ শ্রমিক। বাংলাদেশের প্রগতিশীল সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনে রুদ্র ভূমিকা বিস্মৃত হবার নয়।
স্মরণানুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, রুদ্র স্মৃতি সংসদের সভাপতি সুমেল সারাফাত। স্মরণানুষ্ঠানে বক্তৃতা সমাজসেবক মাহমুদ হাসান ছোটমনি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক মোঃ নূর আলম শেখ, মিঠাখালি ইউপি চেয়ারম্যান উৎপল মন্ডল, সিপিবি নেতা নাজমুল হক, বিএনপি নেতা শেখ শাকির হোসেন, কবি গীতিকার মোল্যা আল মামুন, পিএফজির এরশাদুজ্জামান সেলিম, ইয়ুথ পিস্ এম্বাসেডর শিকদার ইয়াসিন আরাফাত, দি হাঙ্গার প্রোজেক্ট বাংলাদেশ’র সুকমল মন্ডল, রুদ্র সংসদের বিল্লাল হোসেন, ইউপি সদস্য উকিল উদ্দিন ইজারদার, আসাদুজ্জামান টিটো প্রমূখ।
এ স্মরণানুষ্ঠানে আলোচকরা আরো বলেন, নতুন এক পৃথিবীর স্বপ্ন কবিকে তাড়িয়ে বেড়েছিলো। কবি শ্রম আর উৎসব, ভালোবাসা আর প্রশান্তিকে ফিরে পেতে চেয়েছিলেন। কবির আশা ছিলো শস্য আর স্বাস্থ্যের, সুন্দর আর গৌরবের কবিতা লেখার। কবি গান গাইতে চেয়েছিলেন বসন্ত আর বৃষ্টির বন্দনা করে। কিন্তু ১৯৯১ সালের ২১ জুন মাত্র ৩৫ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র ৩২তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দিনটির স্মরণে রুদ্র স্মৃতি সংসদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট মোংলা, সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগ ( পিএফজি ), আওয়ামীলীগ, বিএনপি, সিপিবি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, অন্তর বাজাও, ইয়ুথ পিস্ এম্বাসেডরসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন কবির গ্রামের বাড়ি মোংলার মিঠেখালিতে বুধবার সকালে র্যালিসহকারে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে। এছাড়া স্মরণানুষ্ঠান, মিলাদ মাহফিল, দোয়া-মোনাজাত ও রুদ্রের কবিতা আবৃত্তি এবং রুদ্র সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। উল্ল্যেখ্য বাংলাদেশের কবিতায় রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র অবিসস্মরণীয় শিল্পমগ্ন উচ্চারণ তাকে দিয়েছে সত্তরের অন্যতম কবি-স্বীকৃতি।