ঝালকাঠির রাজাপুরে নিখোঁজের নয় দিনেও খোঁজ মিলেনি আমান উল্লাহ’র
সফিকুল ইসলাম হিরু ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরের সমবায় আশরাফুল মাদারিস নূরানী হাফিজি ও কওমী মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজের নয় দিনেও খোঁজ মিলেনি আমান উল্লাহর।অনেক খোজাঁখুঁজি করার পরে খোজঁ না পেয়ে এঘটনায় গত (৩জুন) শনিবার রাতে নিখোঁজ আমানের পিতা আব্দুল্লাহ রাজাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) দায়ের করেন জিডি নং ১৪৩। জিডি সূত্রে জানাযায়, উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের পুটিয়াখালী এলাকার মো. আবদুল্লাহর ছেলে দশ বছর বয়সী মো. আমান উল্লাহ খন্দকার গত (২৮মে) রোববার আশরাফুল মাদারিস নূরানী হাফিজি ও কওমী মাদ্রাসা থেকে বিকেল ৫টায় নিখোঁজ হয়। তিনি ঐ মাদ্রাসার হেফজখানা বিভাগের ছাত্র।
সোমবার (৫জুন) সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে নিখোঁজ আমানের পিতা আব্দুল্লাহ জানান, মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মো. মনিরুল ইসলাম আমার ছেলে আমানকে মারধর করার কারণে ভয়ে সে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায় তখন তার ক্লাসের অন্য ছাত্ররা শিক্ষককে জানালেও তিনি কোন গুরুত্ব দেননি। এরপর সে আর বাড়িতে ফিরে না আসায় আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি, লিফলেট পোষ্টার মাইকিং সহ সম্ভাব্য স্থানগুলোতে খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার গায়ের রঙ কালো লম্বা ৩ফুট ৮ইঞ্চি। কোথায় আছে, কেমন আছে, কীভাবে আছে, কিছুই জানি না। আত্মীয়-স্বজন সবাই বিভিন্নভাবে তার খোঁজ করছে। কিন্তু কোথাও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় রাজাপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে।
এ বিষয় অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মো. মনিরুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমানকে কোন মারধর করা হয়নি ক্লাসে কোন লাঠি ব্যাত নেই। তাকে পড়ার জন্য চাপপ্রয়োগ করা হয়েছে। হয়তো এর জন্য বিকেলে অন্য একটা ছাত্রের সাথে পালিয়ে গেছে।
সমবায় আশরাফুল মাদারিস নূরানী হাফিজি ও কওমী মাদ্রাসার পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার মাদ্রাসার নামে কিছু লোক বিভিন্ন মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করে নানা রকম কথা বলে যাতে এই প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। গত ২৮ মে সকালে ১৩ বছর বয়সী নুরুল ইসলাম নামে এক ছাত্র সকাল সাড়ে ৮টায় বাড়িতে চলে যায়। এরপর বিকেল সাড়ে ৫টায় মাদ্রাসায় আসে। তবে ক্লাস আসে নায় বাহিরে ছিলো আমারা আসরের নামাজের পর থেকে মাগরিবের আযানের আগ পর্যন্ত বিরতি থাকে খেলাধুলা করার জন্য তখন তার সাথে অন্য একটা ছাত্র ১০ বছর বয়সী আমান উল্লাহ পালিয়ে যায়। আমি মাগরিবের নামাজের পরে জানতে পেয়ে উভয়ের পরিবারের কাছে ঘটনা জানাই তারা বাড়িতে গেছে নাকি কিন্তু তারা জানান বাড়িতে যায়নি এরপর খোঁজাখুঁজি করে আর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয় রাজাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় বলেন, আমান উল্লাহ নামের ১০ বছর বয়সী শিশু সন্তান নিখোঁজ রয়েছে উল্লেখ করে ছেলেটির পিতা আব্দুল্লাহ গত ১দিন আগে থানায় লিখিত অবগত করেছে, যা সাধারন ডায়েরী হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। ছেলেটির সন্ধান পেতে কাজ করছে পুলিশ।’