1. holyjannattv@gmail.com : rajib :
  2. admin@amarsangbadpratidin.com : admin :
  3. writers@amarsangbadpratidin.com : Writers :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন

মেম্বারের জুলুমে অতিষ্ট গ্রামবাসী, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে জীবন ভিক্ষা চায় প্রবীণ আওয়ামী লীগ সামছুল হক।

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ৪ জুন, ২০২৩
  • ২৭০ Time View

মোঃ সায়েদুজ্জামান, প্রতিনিধি, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহঃ

। ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার ১ নং দুল্লা ইউপির বাসিন্দা মোঃ সামছুল হক অনেক আশা করেছিলো সারাজীবন আওয়ামীলীগ করেছেন এবার তার দল ক্ষমতায় অবশ‍্যই ভাতার কার্ডের মাধ‍্যমে অভাব ঘুচবে তার সংসারের, তিনি গর্ব করে বলতেন আমাদের শেখের বেটি হাসিনা ক্ষমতায় আছেন, প্রকৃত আওয়ামী লীগ হিসেবে ঘুষ ছাড়াই ভাতা পাবেন তিনি। কিন্তু ২নং ওযার্ডের বর্তমান মেম্বার এবং সাবেক আওয়ামী লীগের ওয়াড সভাপতি আঃ হান্নান তাকে সুন্দর করে বুঝিয়ে দিলেন। উপরে টাকা লাগবে টাকা ছাড়া কোন কার্ড সে পাবে না। সামছুল হক বুঝতেও পারেননি, কতটুকু উপরে টাকা টা যাবে। সবাইকে দিতে দেখে সে বলেছিলো, আমি সবার মতো পাঁচ ছয় হাজার দিতে পারবো না,একটু কম নিও। দুই হাজার টাকা সহ তার এবং তার স্ত্রীর দুইজনের আইডি কার্ড নিয়ে আসে। মেম্বার বলে তার স্ত্রীর আইডি ঠিক আছে। এমনি করে প্রায় এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পর মেম্বারের কাছে কাডের খবর জানতে আসলে, মেম্বার আরও টাকা দাবি করেন, বলেন টাকা দিলে তারাতারি পাবেন। বিপদে পরে দুল্লা মেলায় বাজার করতে নিয়ে আসা পাঁচ শত টাকা দিয়ে দেয়, সামছুল হক। বাড়িতে খালি ব‍্যাগ দেখে, তার স্ত্রী জানতে চায় মেলার বাজার কই, তার স্ত্রীকে শান্তনা দিয়ে বলে, তোমার নামে বয়স্ক ভাতা কার্ড পেলেই, পরের বছর ধূমধাম করে মেলার বাজার করমু। কিন্তু কয়েক দিন পর বটতলা বাজারে ইসমাইল মিয়ার চায়ের দোকানে হান্নান মেম্বার কে কার্ডের কথা জানতে চাইলে, হান্নান বলেন আরও কিছু টাকা লাগবে, টাকা না দিলে আরো সময় লাগবে, বয়বৃদ্ধ মানুষ সামছুল হক বলেন, আমি আর টাকা দিতে পারবোনা, আর দেরি হলে আমার টাকা ফেরত দেও, কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে, হান্নানের পাশে বসে থাকা তার ছেলে সুজন মিয়া প্রথমে সামছুল হকের গলায় ধরে ফেলে দেয়, তার সাগর এবং মেম্বার তিন জন একসাথে কিলঘুশি লাথি মারতে থাকে, অন্নান‍্য লোকজন আসিয়া উদ্ধার করেন। শরীরের অবস্থা অবনতি হলে, মুক্তাগাছা থানা কমপ্লেক্সে এ চিকিৎসা নেন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিচার প্রার্থী হয়েছেন। বিচার প্রার্থী হওয়ার কারণে সামছুল হক বলেন, অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন‍্য তার ছেলে শফিকুল সহ তাকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছেন। সুজন মিয়া বলেন ফকিন্নিদের মারলে কি হবে। হেড কোয়াটারে বিচার দিয়েছিলো, আমার আগের বউ, কি হয়েছে, কয়ডা টেহা গেছে আর কি। আমি নিজেও একজন পুলিশ মিথ্যা কয়টা মামলা দিলেই সাইজ হয়ে যাবে। এদিকে সামছুল বাড়ির বাহিরে যেতে সাহস না পেয়ে অমানবেতর জীবন যাপন করছেন। স্বাভাবিক জীবন যাপন ব‍্যাঘাত ঘটায় প্রাণের ভয়ে, তিনি দেশবাসী, পুলিশ হেডকোয়ার্টার ও প্রধান মন্ত্রীর কাছে প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছেন। এব‍্যাপারে দুল্লা ইউপির স্বনামধন্য চেয়ারম্যান মোঃ হোসেন আলী হুসি বলেন আমি অনিয়মের জন‍্য তাকে তিনবার পরিষদ থেকে বের করে দিয়েছি। সামছুল হক কে আমি চাচা বলে ডাকি তিনি আমার উর্ধ্বতন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করেছেন, তিনি যে পদক্ষেপ নিবেন আমি তাকেই সমর্থন করবো। ঘটনা সত‍্য বলে উল্লেখ করেছেন। মেম্বার আঃ রশিদ বলেন একজন প্রকৃত আওয়ামীলীগ ব‍্যাক্তির কাছ থেকে, কি ভাবে কি করলো আমার মাথায় ধরে না। তিনি আরো বলেন,অর্থের লোভে হান্নান মেম্বার একটা দরবারও শেষ করেন না। রামাকানা গ্রামের সাইফুল ইসলাম বলেন তার নিকট থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছে এই হান্নান মেম্বার এখনো বয়স্কভাতা করে দেয়নি। গোবিন্দবাড়ীর শাজাহান মিয়া বলেন তার মায়ের নামে বয়স্কভাতা কার্ড করার জন‍্য সে ছয়হাজার টাকা হান্নান কে দিয়েছেন, তবে কার্ড পেয়েছেন। তার ছেলে সুজন মিয়া পুলিশে চাকরি করার কারণে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস করে না। এলাকার হতদরিদ্র এবং নিরীহ মানুষ গুলো এর প্রতিকার দাবি করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© Amarsangbadpratidin.com
Theme Customized BY Kh Raad (FriliX Group)