কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজে
জুন থেকে ৩ মাস বন্ধ থাকবে, সচিব
মাসুদ পারভেজ
আগামী মাসে শুরু হচ্ছে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ। কাজ শেষ হতে সময় লাগলেও তিন মাসে মূল রেল লাইনের সংস্কার কাজ শেষ হবে। আর সেই তিন মাস ট্রেন বন্ধ থাকবে চট্টগ্রাম—দোহাজারী রুটে। ট্রেনের পাশাপাশি সেতুতে সব ধরনের যান চলা পুরোপুরো পুরি বন্ধ থাকবে। এই তিন মাস কর্ণফুলীর দু’পারের বাসিন্দাদের যাতায়াতের ভরসা ফেরি অথবা শাহআমানত সেতু।
শনিবার (৬ মে) সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসনের আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সচিব হুমায়ুন কবীর। এসময় রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আ স ম মাহতাব উদ্দিন, বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আবিদুর রহমানসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘সংস্কার কাজ চলাকালীন তিন মাস চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। এসময়ে সেতুর ওপর যান চলাচলও বন্ধ থাকবে। সেতুর বিকল্প হিসেবে যাতায়াতের জন্য ফেরি চালু করা হবে। সেতুতে যান চলাচল বন্ধ থাকলে মানুষের সাময়িক অসুবিধা হবে। তবে সংস্কারকাজ হয়ে গেলে সেই কষ্ট আর থাকবে না। ২০২৮ সালে নতুন সেতু নির্মাণ হলে দুর্ভোগ দূর হয়ে যাবে।’
রেল সচিব আরও বলেন, সরকার রেলপথের উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন তারই অংশ। তিন মাসে সেতুর সংস্কার কাজ শেষ হলে সেপ্টেম্বরে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালু হবে। নতুন রেলপথ দিয়ে ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দেখতে পর্যটকরা পৌঁছে যাবেন পর্যটন শহরে।
কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ নিয়ে তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিঞা বলেন, কালুরঘাট রেল সেতুর অবস্থা এত খারাপ, সংস্কার ছাড়া কক্সবাজার পর্যন্ত ভারি ইঞ্জিনের ট্রেন নেওয়া সম্ভব নয়। সেপ্টেম্বরে মূল সংস্কার কাজ শেষ হবে। সংস্কার কাজ চলাকালে রেল সেতুতে মানুষের হেঁটে পার হওয়ার জন্য ওয়াকওয়ে রাখা হবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে এই কালুরঘাট সেতুতে ট্রেনের গতি ১০ কিলোমিটার। বুয়েট পরামর্শক দলের পরামর্শে সেতু সংস্কার করা হবে। সংস্কারের পর ৫০—৬০ কিলোমিটার হবে। আগামী ২০ জুন সংস্কার কাজ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে ঠিকাদার নিয়োগের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন খালেদ চৌধুরী বলেন, সেতুর বিকল্প হিসেবে নদীতে ফেরি সার্ভিস চালু করা হবে। এজন্য দুটি ফেরি রাখা হয়েছে। এর মধ্যে একটি ফেরি রাখা হয়েছে বিকল্প হিসেবে। তবে বোয়ালখালী পৌর মেয়র জহুরুল ইসলাম ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম দু’টি ফেরির পরিবর্তে চারটি ফেরি চালুর দাবী করেন।