চিরিরবন্দরে টমেটোর বাম্পার ফলন, চাষির মুখে হাসি
স্টাফ রিপোর্টারঃ
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় “বিপুল প্লাস” জাতের টমেটো রোপন করে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।
কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় আগামীতে এ জাতের টমেটোর চাষ আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।
এ বছর চিরিরবন্দর উপজেলায় ৪৫ হেক্টর জমিতে প্রায় ২৫০০ মেট্রিক টন টমেটো উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ।
সরেজমিনে চিরিরবন্দর উপজেলার ৭নং আউলিয়াপুকুর ইউনিয়নের কৃঞ্চপুর গ্রামে দেখা যায়, সেখানে মাঠের পর মাঠ টমেটোর আবাদ হয়েছে। বাজারে দাম বেশি তাই পাকা টমেটো তুলতে ব্যস্ত কৃষক।
এ সময় ইন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক হুমায়ুন কবির লিমন বলেন, “আমি এ বছর ৬ একর জমিতে “বিপুল প্লাস” জাতের টমেটো রোপন করেছি। প্রতি ১ বিঘা জমিতে টমেটো রোপন সার ও কীটনাশকসহ মোট খরচ হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। এ থেকে সব মিলিয়ে কমপক্ষে বিঘা প্রতি আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা বিক্রি হবে”।
একই সময় কৃষ্ণপুর গ্রামের জাকির হোসেন মুন্সি নামে আরেক কৃষক বলেন, “আমাদের গ্রামটি নদী সংলগ্ন হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পলি মাটি পড়ে জমির উর্বরতা বাড়ে। তাই এ অঞ্চলে সব ধরনের সবজির ভালো ফলন হয়। এ বছর সবচেয়ে বেশি হয়েছে টমেটোর চাষ। এখন বাজারে টমেটো মন প্রতি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া এ এলাকার টমেটো বিষমুক্ত হওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা মাঠ থেকেই টমেটো কিনে নিয়ে যায়”।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কৃষি কর্মকর্তা জোহরা সুলতানা বলেন, “চিরিরবন্দরের অন্যতম উচ্চ মূল্য ফসল নাবি টমেটো। নাবি টমেটোর উৎপাদন বৃদ্ধিতে শুরু থেকেই কৃষি বিভাগ টমেটো চাষীদের পরামর্শ দিয়ে আসছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় বর্তমানে টমেটোতে রোগ পোকার আক্রমণ অপেক্ষাকৃত কম। মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা চাষীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। আশা করা যাচ্ছে আগামীতে নাবি টমেটোর আবাদ এলাকা ও উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে”।