1. holyjannattv@gmail.com : rajib :
  2. admin@amarsangbadpratidin.com : admin :
  3. writers@amarsangbadpratidin.com : Writers :
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
দফের আবিষ্কার ও প্রচলন ইতিহাস জুলাই আন্দোলনের সময় ছাত্রদের উপর হামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ নাজিরপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার জমি দখলের অভিযোগ বাগেরহাট হতে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬ বাগেরহাটে আবাসিক হোটেল জারিফ থেকে হাত বোমা সহ বিএনপির নেতা-কর্মী আটক। পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে মুক্তাগাছা ১নং দুল্লা ইউনিয়ন ছাত্রদলের মানববন্ধন পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে মুক্তাগাছা ১নং দুল্লা ইউনিয়ন ছাত্রদলের মানববন্ধন ঝালকাঠিতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক মানববন্ধনও স্মারকলিপি প্রদান বেনাপোল আন্তঃহাই স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত সরাইলে আমজাদ হত্যার আসামিরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে এলাকায় আলোচনা সমালোচনা।

দফের আবিষ্কার ও প্রচলন ইতিহাস

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৪ Time View

অফিস ডেস্ক —
দফ (Daf) বা দাফ একটি প্রাচীন তালবাদ্য যন্ত্র, যার ইতিহাস বহু শতাব্দী পেছনের কথা। এটি মূলত: একটি এক-মুখো ফ্রেম ড্রাম, সাধারণত কাঠ, ধাতু বা প্লাষ্টিকের গোলাকার ফ্রেমে একটি চামড়ার বা সিন্থেটিক চামড়ার ত্বক টানানো থাকে।

চলুন দফের আবিষ্কার ও প্রচলনের ইতিহাস সম্পর্কে ধারাবাহিকভাবে জেনে নিই:

আদিম উৎস:
দফের উৎস ধরা হয় প্রাচীন পারস্য বা ইরান অঞ্চলে। প্রায় ৬ষ্ঠ শতাব্দী খ্রিষ্টপূর্বাব্দে।এটি তখন ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হতো। বিশেষ করে সুফি সাধকরা ধ্যান ও জিকিরের সময় দফ ব্যবহার করতেন।

প্রসার ও প্রচার মধ্যপ্রাচ্যে :

পারস্য থেকে এটি মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।বিশেষ করে আরব, তুর্কি, ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে।প্রাচীন ইসলামি সংস্কৃতিতে দফকে “হালাল” বাদ্যযন্ত্র হিসেবে গণ্য করা হতো।কারণ এটি গানের চেয়ে জিকিরে বেশি ব্যবহৃত হতো।

ভারতীয় উপমহাদেশে আগমন:
দফ ভারতীয় উপমহাদেশে আসে মূলত: সুফি সাধকদের মাধ্যমে।মাজার, ওরস, কাওয়ালি, লোকগান ও বাউল সংগীতে দফ বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।বাংলা লোকসংগীতে বিশেষ করে বাউল, মারফতি, মুর্শিদি গানে দফ একটি অপরিহার্য বাদ্যযন্ত্র।

দফের প্রচলন ও ব্যবহার:

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লোকসংগীত:
গ্রামীণ মেলা, বাউল উৎসব এবং পীর-মাজারেও দফের ব্যবহার অত্যন্ত জনপ্রিয়।বিভিন্ন ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক গানে দফ ব্যবহৃত হয় সঙ্গীতের স্পন্দন ও তাল সৃষ্টি করতে।

সুফি ও ধ্যানসংগীতে:
দফ শুধুই বাদ্যযন্ত্র নয়; অনেকের কাছে এটি আত্মার অনুরণন, ভক্তির ছন্দ এবং জাগরণের মাধ্যম বলেও জানা গেছে।

আধুনিক সংস্করণ ও থেরাপিতে প্রয়োগ:
এখন অনেক দফে ঝিনঝিন বা ঘণ্টাধ্বনির মতো রিং লাগানো থাকে।বর্তমানে দফকে মিউজিক থেরাপিতেও ব্যবহার করা হয়, কারণ এর ধ্বনি হৃদয় ও মস্তিষ্কে প্রশান্তি আনে।

উপসংহার:
দফ একটি প্রাচীন কিন্তু জীবন্ত বাদ্যযন্ত্র যা যুগে যুগে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে নতুনভাবে ও নতুনসাজে প্রকাশ হয়ে আসছে। আজও এটি শুধু লোকসংগীতে নয়, ধ্যান, চিকিৎসা ও গবেষণার ক্ষেত্রেও গুরুত্ব পাচ্ছে।

মো: শোয়েব হোসেন (লেখক)
শিক্ষক,শিল্পী, গবেষক,
সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© Amarsangbadpratidin.com
Theme Customized BY Kh Raad (FriliX Group)