ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল প্রতিনিধি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের ভূইশ্বর এলাকার আমজাত আলী হত্যার ঘটনার ৩০ দিন (প্রায় ১মাস) পার হলেও এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে আছেন অভিযুক্ত আসামিরা।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) এসব কথা বলেন নিহত আমজাদের ছেলে দুধ মিয়া। তিনি বলেন, ঘাতকের দল আমার বাবাকে হত্যা করল। মামলা করার এতদিন পরেও একজনকেও ধরতে পারল না পুলিশ। আমি কি আমার বাবার হত্যার বিচার পাব?
মামলা ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের ভূইশ্বর এলাকার আবদুর রহমান, লায়েছ, রোবেল, নুরজাহান, সুমা বেগম, মোজাম্মেল, হোসেনা বেগম, জিলন নেছা, হাদিস ও রায়হান মিয়াসহ দাঙ্গাবাজ, সন্ত্রাসী ও হিংস্র প্রকৃতির লোকজন বটে। গত ১৬/৩/২০২৫ইং তারিখ রোজ রবিবার আবদুর রহমান তাঁর সহজ সরল ভাই আব্দুল মন্নাফকে মারপিট করলে প্রতিবেশী আমজাদ আলী এর প্রতিবাদ করে। পরে আমজাদ আলী উপর মারাত্মক ভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার হুমকি দেয় আবদুর রহমান। পরে রাত ১০টার দিকে আমজাদ আলী মসজিদ হইতে তারাবি নামাজ শেষে বাড়ি আসার পথে রাস্তায় আবদুর রহমান গংরা তাহার গতিরোধ করে লোহার রড দিয়া বারি মারে। বারি আমজাদ আলীর মাথায় পড়ে মাটিতে শুইয়ে পড়িলে আবদুর রহমান গংরা আমজাদ আলীর বুকের উপর বসিয়ে গলায় চিপা দিয়া ধরিয়া শ্বাসরুদ্ধ ক্রমে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করে। আমজাদ আলী মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য শরীরের বিভিন্ন স্থানে প্রাণঘাতি জখম করে। অতঃপর আমজাদ আলী মৃত্যুবরণ করিয়াছে বুঝিয়া বীরদর্পে আবদুর রহমান সকল গংরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে পরিবারের লোকজন গুরুত্বর আহত অবস্থায় আমজাদ আলী কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনার চেষ্টা করলে মৃত্যুবরণ করে। এ ঘটনায় নিহত আমজাদের ছেলে দুধ মিয়া বাদী হয়ে ২৪/৩/২৫ তারিখ দশজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে সরাইল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার নং ৩২, ওই খুনের ঘটনার ৩০ দিন পার হলেও আসামিদের একজনকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
তবে আসামিরা শীঘ্রই ধরা পড়বে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সরাইল থানা পুলিশের (এসআই) নিরস্ত্র জাহিদ হাসান। তিনি বলেন, আমজাদের খুনিরা মামলার পর সবাই আত্মগোপনে চলে গেছে। তাদের সবার মোবাইল ফোন বন্ধ। শীঘ্রই সবাইকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল হাসান বলেন, থানায় মামলা হয়েছে, তারা কেউ মোবাইল ইউজ করে না একে বারে গ্রাম্যতো। যার কারণে তাদের অবস্থান আইডেন্টিফাই করতে পারছি না। আসামিদের ধরতে ম্যানুয়ালি সোর্স মেইন্টিং করে ধরার চেষ্টা করেছি। আর এ বিষয়ে কেউ যদি সহায়তা করতে চান তাহলে ওয়েলকাম জানাই ও সম্মানি দেওয়া হবে।