💛 আমাদের ছোট মুজিব, শেখ হেলাল 💛

বিশেষ প্রতিনিধি

লেখক✒এস এম জুলফিকার জুয়েল।

বাগেরহাট-১ সংসদীয় আসনটি ১৯৮৪ সালে গঠিত হয়। এটি জাতীয় সংসদের ৯৫নং আসন। বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট, মোল্লাহাট ও চিতলমারী উপজেলা নিয়ে এ আসনটি গঠিত।

আমরা স্মার্ট ফকিরহাট উপজেলার বাসিন্দা, ফকিরহাট উপজেলার স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামী পরিবারের গৌরব করার মত একটা বিষয় আছে। বাংলাদেশের অনান্য সংসদীয় আসনে বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি গনতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা’র ছবি দেখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দেয়। কিন্তু আমরা ফকিরহাট উপজেলার আওয়ামী পরিবার গর্বিত একারণে যে আমরা সরাসরি জননেত্রী শেখ হাসিনা কে ১৯৯৬ সালে এবং ২০০১ সালে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করি। বিপুল পরিমাণ ভোট দোয়া ও ভালোবাসায় জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহন করেন। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সম্মানের অনেক বড় গর্বের বিষয়।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছেড়ে দেওয়া আসনে আমরা পেয়ে যায় ১লা জানুয়ারি ১৯৬১ইং সালে রত্নগর্ভা

শেখ রিজিয়া নাসেরের গর্ভে জন্ম নেওয়া বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ আবু নাসেরের জৈষ্ঠ পুত্র জনাব শেখ হেলাল উদ্দীন কে। পারিবারিক সূত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করা শেখ হেলাল বর্তমানে আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য বাগেরহাট -১।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ হেলালের চেহারার সাথে বঙ্গবন্ধুর চেহারার মিল থাকায় তাকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিরূপ বলা হয়। বর্তমানে তিনি আমাদের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক অভিভাবক।

আমরা এমন একজন অভিভাবক পেয়েছি, যাকে ছোট মুজিব বলে ডাকতেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি শ্রী প্রণব মুখার্জি। ছোট মুজিব বলে কেনো ডাকতেন ভাবতে গিয়ে দেখলাম বঙ্গবন্ধুর মত দেখতে শুধু সে জন্য নয়। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভেতর যে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও মানবিক গুণাবলীগুলি ছিল তার অনেক কিছুই জননেতা শেখ হেলাল উদ্দীন এমপি মহোদয়ের মধ্যে বিদ্যমান।

জননেতা শেখ হেলাল নিরঅহংকারী একজন মানুষ। তার সম্মোহনী শক্তি, রাজনৈতিক দুরদর্শিতা, মানবিকতা, এবং ক্যারিসম্যাটিক লিডারশীপের কারনেই দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের আওয়ামী লীগ যেকোন সময়ের চেয়ে এখন অনেক বেশি গ্রুপিংবিহীন, সুসংগঠিত, এবং শৃঙ্খলিত।

নিজেকে মিডিয়ায় সামনে উপস্থাপন করা থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৃনমুলের নেতাকর্মীদের নিয়েই থাকতে পছন্দ করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বড় বড় পদ বা আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী হওয়া তার জন্য কোন ব্যাপার না, তিনি মন্ত্রী না হয়ে দলের বড় পদ পদবীর দিকে না ঝুকে সারা বাংলাদেশ থেকে বাছাই করা যোগ্য লোককে মন্ত্রী বানাতে বা দলের শীর্ষ পদ অলংকৃত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কে সাহায্য করে চলেছেন। দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে একটা কথা বেশি বেশি উচ্চারিত হয় যে- শেখ হেলাল মন্ত্রী হন না মন্ত্রী বানান।

জননেতা শেখ হেলাল উদ্দীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এমন একজন নেতা শুধু দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে নয় বাংলাদেশের পার্বত্য বান্দরবান হল জাতীয় সংসদের ৩০০নং আসন। এবং পঞ্চগড় হল ১নং আসন। এই পঞ্চগড় থেকে পার্বত্য বান্দরবান, টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যে কোন পর্যায়ের নেতাকর্মী নির্যাতিত হলে তিনি তার খোঁজ খবর নেন। সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। প্রতিটি দিন তিনি বাংলাদেশের কোন না জেলার নেতাকর্মীদের নিয়ে বসেন। যে জেলার সংগঠনের মধ্যে বিরোধ আছে, গ্রুপিং আছে সে জেলার নেতাকর্মীদের নিয়ে বসেন এবং আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তিনি সব ধরনের সংকট দুর করে নেতা কর্মীদের একসুতোয় বেধে চলেছেন। বন্ধু রাষ্ট্রের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে বাংলাদেশ সরকারকে, এবং জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করে চলেছেন।

শেখ হেলাল এবং রুপা চৌধুরী দম্পত্তির তিন সন্তান। একমাত্র ছেলে শেখ সারহান নাসের তন্ময়, সংসদ সদস্য,বাগেরহাট -২, বড় মেয়ে শেখ সায়রা রহমান ছোট মেয়ে শেখ ফজিলা শারমীন অনন্যা।

দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য, দলের জন্য অজস্র ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে জননেতা শেখ হেলাল উদ্দীনকে। ২০০১ সালে তার নির্বাচনী সমাবেশে হারকাত-উল-জিহাদ আল-ইসলামীর সদস্যরা বোমা হামলা করে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো। কোটি মানুষের দোয়া ভালোবাসায় সেদিন সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর রহমতে প্রানে বেঁচে গিয়েছেন। ২০০৭ সালে দেশে জরুরী অবস্থা হলে ওয়ান ইলেভেনের সরকার শুধু কতগুলো মামলা দিয়ে বসে থাকেনি, মেরে ফেলারও পরিকল্পনা করে ফলে পরিবার এবং জীবন বাঁচাতে সস্ত্রীক আত্মগোপনে চলে যান। দেশে ফিরে এসে গায়েবি মামলা গুলো মোকাবেলা করেন এবং সব গুলো মামলা সর্বোচ্চ আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়।

বিএনপি, জামায়াত ও তথাকথিত সুশীল সমাজের যেসব নেতা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশল ও জনপ্রিয়তার কাছে বারবার পরাজিত হয়েছেন, যারা দেশ শাসনে শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা, কৌশল ও প্রজ্ঞার পরিচয় পেয়েছেন। তারা এবং শেখ হাসিনার অনেক রাজনৈতিক শত্রুও মনে করেন শুধু আওয়ামী লীগ-রাজনীতিতে নয়, দেশের রাজনীতিতেই শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।

দেশকে সমস্যামুক্ত করার ব্যাপারে আরও দীর্ঘপথ অতিক্রম করতে হবে। বাংলাদেশের আপামর মানুষের চাওয়া শেখ হাসিনা সারাজীবন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থাকুক, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকুক। কিন্তু সব চাওয়া যে পূরন হবার নয়। জননেত্রী শেখ হাসিনা চিরদিন নেতৃত্বে থাকবেন না। শেখ হাসিনার অবর্তমানে দেশ আবার পিছিয়ে না যায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে বিভক্তি না হয়, শেখ হাসিনার অর্জিত সাফল্যগুলো নষ্ট হয়ে না যায়। সেজন্য সর্বদা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পাশে থেকে সাহায্য সহযোগিতা করা জননেতা শেখ হেলাল উদ্দীনের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, কৌশল ও প্রজ্ঞার কারনে রাজনৈতিক বোদ্ধারা মনে করেন যে জননেত্রী শেখ হাসিনার অবর্তমানে জননেতা শেখ হেলাল ই আওয়ামী লীগের কর্নধর