কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। ছবি : কৃষি মন্ত্রণালয়
শে হুড়মড়িয়ে বাড়ছে প্রতিদিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত হওয়া অন্যতম উপাদান পেঁয়াজের। বেশ কিছুদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের কেজি গিয়ে ঠেকেছে ৮০ টাকায়। এই দাম কোনোভাবেই গ্রাহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। এমন অবস্থায় পেঁয়াজ আমদানির কথা শোনা যাচ্ছে জোরেসোরে, তবে আসেনি সিদ্ধান্ত। তবে, দু’তিন দিনের মধ্যেই বাজার পরিস্থিতি থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
আজ রোববার (২১ মে) সচিবালয়ে নিজ অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন কৃষিমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকা কেজি, কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। এখন দাম কিছুটা কমতির দিকে। আরও ২-৩ দিন বাজার পরিস্থিতি দেখে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন ও মজুত ভাল ছিল। তবে, দাম কম ছিল। কৃষকেরা কম দাম পেয়েছিল। দাম বাড়বে, গত বছর এই আশায় মজুত করে রাখা পেঁয়াজ পচে গিয়েছিল। কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেজন্য এ বছর পেঁয়াজের কী অবস্থা, আমরা দেখতে চাচ্ছি। কৃষকের কাছে, গুদামে ও আড়ৎদারের কাছে কী পরিমাণ পেঁয়াজ আছে তা দেখতে, গত ২-৩ দিন মাঠপর্যায়ের বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা খোঁজখবর নিয়েছে। যথেষ্ট পেঁয়াজ মজুত আছে।’
দাম আরও বাড়বে, এই আশায় মজুতদাররা বাজারে বিক্রি করছে না জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘কেবলই তো পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হয়েছে। এই মুহূর্তে দাম বাড়ার কথা না। সিন্ডিকেটের হাত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় মধ্যম ও সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শেষ পর্যন্ত কৃষকের স্বার্থটা দেখতে চাচ্ছি। কারণ, গত বছর কৃষকেরা দাম কম পাওয়ায় এ বছর পেঁয়াজের উৎপাদন কমেছে প্রায় দুই লাখ টনের মতো।’ তিনি আরও বলেন, ‘পেঁয়াজ খুবই পচনশীল ফসল। এটি রাখা কঠিন। পেঁয়াজ রাখা যায় না। শুকিয়ে যায় না হয় পচে যায়। তবে, আমরা কিছু প্রযুক্তি নিয়ে এসেছি, কীভাবে গুদামে রাখা যায়। যদি শেলফ লাইফ বাড়ান যেত, তাহলে আমাদের যে উৎপাদন হচ্ছে, তাতে পেঁয়াজ দিয়ে বাজার ভাসিয়ে দেওয়া যেত।’