২০০০ টাকার পাঞ্জাবি ১৩ হাজারে বিক্রি, ‘রাজস্থান’কে জরিমানা
মাসুদ পারভেজ
২০০০ টাকার পাঞ্জাবি ১৩ হাজারে বিক্রি, ‘রাজস্থান’কে জরিমানা চট্টগ্রামের রাজস্থান আউটলেটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান/ছবি: সংগৃহীত
ভারত থেকে আমদানি করা একটি পাঞ্জাবিতে সবমিলিয়ে খরচ দুই হাজারের কাছাকাছি। অথচ সেই পাঞ্জাবি বিক্রি করা হচ্ছে ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা। এমন চড়ামূল্যে পাঞ্জাবি বিক্রির দায়ে চট্টগ্রামের ‘রাজস্থান’ ব্র্যান্ডকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রবর্তক মোড়ে অবস্থিত রাজস্থানের আউটলেটে অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় আমদানি ও পাঞ্জাবিগুলোর ক্রয় রশিদ যাচাই করে এমন বাড়তি দাম নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। তিনি জানান, ঈদে পাঞ্জাবির চাহিদা থাকে বেশি। ঈদে পাঞ্জাবির মধ্যে ভারতীয় পাঞ্জাবির চাহিদা সবসময় বেশি থাকে। সেই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে চট্টগ্রামের ‘রাজস্থান’। চট্টগ্রাম শহরে রাজস্থানের ১৭টি আউটলেট রয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘আমরা প্রবর্তক মোড়ে রাজস্থানের আউটলেটে গিয়ে অল্পসংখ্যক ভারতীয় পাঞ্জাবি দেখেছি। সেগুলোর কোনোটিই রাজস্থান আমদানি করেনি। তারা কোনো এলসির কাগজপত্র বা কাস্টমসের ছাড়পত্রও দেখাতে পারেননি।’
‘একপর্যায়ে কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, যমুনা ট্রেডার্সের মাধ্যমে তারা এ পাঞ্জাবি আমদানি করেছেন। কিন্তু যমুনা ট্রেডার্সের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সব ভ্যাট-ট্যাক্স পরিশোধ করার পর একটি পাঞ্জাবির দাম পড়েছে দুই হাজার টাকার কাছাকাছি। অথচ সেই পাঞ্জাবি রাজস্থানের আউটলেটে বিক্রি হচ্ছে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায়। কোনো কোনোটি বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।’
এমন চড়া দামে পাঞ্জাবি বিক্রি করার দায়ে রাজস্থান প্রবর্তক আউটলেটের ম্যানেজারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত।
এদিকে, চট্টগ্রামে আফমি প্লাজার ‘সারতাজ’ নামে পাঞ্জাবির দোকানেও অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রতিষ্ঠানটি দেশি পাঞ্জাবিতে ‘মেইড ইন ইন্ডিয়া’ স্টিকার লাগিয়ে বিক্রি করছিল। এমন প্রতারণার দায়ে তাদেরকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।