মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ- হরিনের চামড়া ও মাথা উদ্ধারের তিন মাসেও আটক নেই কেউ, মামলা নিয়ে ধোঁয়াশা চলায় জন মনে চরম হতাশা বিরাজ করছে। এলাকাবাসী জানায় গত ইংরেজি ১২/০৬/২০২৩ আনুমানিক ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে ঢাংমারী ষ্টেশনের চৌকষ কর্মকর্তা ষ্টেশন অফিসার সাইফুল বারীর নেতৃত্বে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে পাচারকালে সুন্দরবন সংলগ্ন ভোজনখালী গেটের কাছে মুক্তার বাড়ী থেকে চারটি হরিনের চামড়া ও দুটি শিং সহ মাথা আটক করে বন বিভাগ। ঘটনাস্থল থেকে হানিফ ও রেজাউলকে আটক করলেও অজ্ঞাত কারণে তাদের কে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারা দাবি করে যে তাদের বিরোধী গ্রুপ বাদল ও মুক্তা তাদের কে ফাসানোর উদ্দেশ্য এই কাজ করেছে।
পরবর্তীতে দুই গ্রুপ হরিনের চামড়া ও মাথার বিষয়ে একে অপরকে দায়ী করে দাকোপ থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
চাঁদপাই রেঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা যায় অভিযুক্ত বাদল, হানিফ, মুক্তা এরা তালিকাভুক্ত হরিন শিকারি।
এরা সুন্দরবনে হরিণ শিকার ও বিক্রয়ের সাথে জড়িত এবং তাদের বিরুদ্ধে একাধিক বন আইনের মামলাও আছে।
কিন্তু ঘটনার তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো কোন মামলার খবর জানা যায়নি।
উপরন্তু মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার কথা প্রচলিত হচ্ছে বলে এলাকাবাসী দাবি করে। তাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি র দাবি জানিয়েছে এলাকার সুধীজন।