সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আজ রোববার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
থ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘স্যাংশন-পাল্টা স্যাংশন দিয়ে কোনো লাভ হয় না। তা এরইমধ্যে প্রমাণ হয়েছে। কয়েক দশক ধরে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশই স্যাংশন দিয়ে রেখেছে। কই ইরানের সরকার তো পড়ে যায়নি। ইরানের সরকার বহাল তবিয়তে আছে। কিউবার বিরুদ্ধে স্যাংশন ছিল বহু বছর। কিউবাকে টলাতেও পারেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক মাইল দূরেই তো কিউবা। কিউবার সরকার পরিবর্তনও হয়নি।’
আজ রোববার (২১ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে- আমেরিকার আরও স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) আসছে। এবার রাজনীতিবিদরাও তালিকায় থাকছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত যে পত্রিকা লিখেছে, তাদের এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করুন। এ বিষয়ে আমার কোনো কিছু জানা নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। গত ৫১ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়তা করে আসছে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণসহ নানা সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের সহযোগিতায়ই বাংলাদেশ আজকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের প্রচণ্ড প্রোফাউন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টনার।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বহু স্যাংশন দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমারেও তো সরকার পরিবর্তন হয়নি। রাশিয়ার বিরুদ্ধেও বহু স্যাংশন। সেই স্যাংশন অমান্য করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে পণ্য আমদানি করছে। এমনকি ভারতও করছে। কাজেই স্যাংশন দিয়ে খুব একটা লাভ হয় না।’