সুন্দরবনে জেলেদের অপহরণ ও মুক্তিপন দাবির অপরাধে গ্রেফতার ৫”
মোল্লা জাহাঙ্গীর আলম _খুলনা //
খুলনা জেলার দাকোপ থানাধীন গহীন সুন্দরবনের ভিতর ভদ্রা নদীর টগিবগী খালের উপর কতিপয় জেলেরা ডিঙ্গি নৌকাসহ মাছ ধরার সময় গত ২৩ জুলাই,অপহরন করার উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ওত পেতে থাকা দস্যুরা জেলেদের নৌকার কাছে এসে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জেলেদের নৌকা থেকে অপহরণ কারীদের নৌকায় তুলে নিয়ে এলোপাতারি কিল ঘুষি মারতে থাকে।বিভিন্ন হুমকি দিয়ে জেলেদের জোর পূর্বক গহীন সুন্দরবনের অজ্ঞাত স্থানে অপহরণ করে অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে এবং মোবাইল ফোনে জেলেদের পরিবার পরিজনের নিকট ফোন দিয়ে ২(দুই) লক্ষ টাকা মুক্তিপন বাবদ চাঁদা দাবি করে।টাকা না দিলে জেলেদের খুন করে লাশ গুম করবে বলে পরিবার পরিজনদেরকে হুমকি দেয়। তখন মৃত্যুর ভয়ে জেলে দের পরিবারের লোকজন ২ (দুই) লক্ষ টাকা দিতে রাজি হয়। তখন অপহরণকারীরা জেলে পরিবার পরিজনদের নিকট একটি বিকাশ নম্বর দেয় এবং দ্রুত টাকা পাঠাতে বলে। জেলেদের পরিবারের লোকেরা একই তারিখ বিকালে বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনদের নিকট হতে ধার দেনা করে সর্বমোট ৭০,০০০/- (সত্তর হাজার) টাকা মুক্তিপন বাবদ অপহরণকারীদের বিকাশ নম্বরে পাঠিয়ে দেয়।পরবর্তিতে ভিকটিম জেলেদের পরিবারের সদস্যরা র্যাব-৬,খুলনাকে অপহরণের বিষয়টি অবহিত করলে র্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল অপহৃত ভিকটিম দেরকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে।গত ২৮ জুলাই র্যাব-৬, (স্পেশাল কোম্পানি) খুলনার একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অপহরণকারীরা বাগেরহাট ও খুলনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছে।প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যব্স্থা গ্রহণের লক্ষ্যে উক্ত আভিযানিক দলটি একই তারিখ আনুমানিক রাতে বাগেরহাট জেলার মংলা থানা এবং খুলনা জেলার দাকোপ থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহরণের সাথে জড়িত সঞ্জয় বাইন (৩৪), মোঃ গাউস (৩০), মঞ্জুআরা বেগম ময়না (৩৪), মোঃ আল আমিন হাওলাদার (২৮), সর্ব থানা-দাকোপ, জেলা- খুলনা, রবিউল হাওলাদার (৩৩),থানা-রামপাল, জেলা- বাগেরহাটদের’কে গ্রেফতার করে এবং অপহরণ কারীদের কাছ থেকে মুক্তিপন বাবদ আদায়কৃত ৪০,০০০/-(চল্লিশ) হাজার টাকা উদ্ধারসহ ১৪ জন অপহৃত ভিকটিম জেলেদেরকে উদ্ধার করে।