পাবনা প্রতিনিধি
পাবনার সুজানগর উপজেলায় খুনের ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহে যাওয়ার পথে উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের হামলায় সেলিম মোর্শেদ রানা নামের এক সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তাকে কাশিনাথ কিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার (২১ জুন) রাতে উপজেলার আমিনপুর থানার রানীনগর ইউনিয়নের উত্তর রানীনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত সেলিম মোর্শেদ রানা আনন্দ টেলিভিশনের পাবনা জেলা প্রতিনিধি এবং উপজেলার হাটখালি ইউনিয়নের হাটখালি গ্রামের মৃত আব্দুর রহিম মিয়ার ছেলে। স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রানীনগর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে আলামিন মিয়া নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনের বিরোধকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, এবং এলাকার কয়েকটি বাড়িতে আগুন দেওয়া ও লুটতরাজের এমন তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে রওনা দেন সেলিম মোর্শেদ রানা সহ কয়েকজন সাংবাদিক, ঘটনাস্থলের একটু দূরে পৌঁছা মাত্র দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাকে ঘিরে ধরেন উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকরা। তার পরিচয় জানার পরও তাকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে আহত করা হয়। এসময় আশপাশের লোকজন ও অন্যান্য সাংবাদিক এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেন। সাংবাদিক সেলিম মোর্শেদ রানা মুঠো ফোনে বলেন, শাহীন গ্রুপের লোকজন মারা যাওয়ায় সন্ধ্যা রাতে এলাকায় কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করছে , এবং কয়েকটি বাড়ি থেকে গবাদি পশু সহ কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল লুটতরাজ করছে। এমন সংবাদ পাওয়া গেলে আমরা কয়েকজন সাংবাদিক ওখানে যাই, ওখানে পৌঁছামাত্র পিছন থেকে অতর্কিতভাবে আমার উপর হামলা করে। এবিষয়ে পাবনার সহকারী পুলিশ সুপার (সুজানগর সার্কেল) রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা বিষয়টি শুনেছি , কিন্তু লিখিত অভিযোগ এখনও পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, গত ৮ মে সুজানগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে তৎকালীন চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনকে পরাজিত করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব। এরপর থেকে উপজেলায় প্রায় শতাধিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এইসব ঘটনায় একে অপরকে দায়ী করে অভিযোগ তুলেছেন শাহীনুজ্জামান শাহীন ও আব্দুল ওহাব।