মোঃ রাসেল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলোরোয়ার পালপাড়া এলাকায় ধান দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ব্যতিক্রমী প্রতিমা। সোনালী রঙের চিনিগুঁড়া ধানের শৈল্পিক কারুকাজে নির্মাণ করা প্রতিমাগুলো দেখে মনে হচ্ছে যেন মোড়ানো হয়েছে সোনা দিয়ে। পূজা শুরু হওয়ার আগেই এই প্রতিমা দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন শত শত মানুষ।
পূজামণ্ডপটি কলোরোয়া উপজেলার পৌর সদরের মুরারীকাটি উত্তর পালপাড়ায় অবস্থিত। আয়োজকেরা মনে করছেন, হাজারো মানুষ এবার এখানে প্রতিমা দেখতে এসেছিলেন। পুরো জেলায় এই প্রতিমার কথা ছড়িয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে পূজামণ্ডপে দেখা গেছে, পুঁতির মতো একটা একটা করে ধান দিয়ে গেঁথে তৈরি করা হয়েছে দশভুজা দেবী দুর্গার অবয়ব প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। পূজামণ্ডপে তৈরি করা হয়েছে ১৮টি প্রতিমা।
ব্যতিক্রমী এই প্রতিমা তৈরির কারিগর শিল্পী প্রহ্লাদ বিশ্বাস বলেন, এই মণ্ডপে দুর্গা, কার্তিক, গণেশ, সরস্বতী, লক্ষ্মী, অসুর, মহিষাসুরসহ ১৮টি প্রতিমা তৈরির জন্য প্রথমে কাঠ, বাঁশ, পাট ও মাটি দিয়ে কাঠামো করা হয়েছে। পরে নকশি পাড় বসানোর পর একটি একটি করে বসানো হয়েছে চিনিগুঁড়া ধান। কিছু কিছু অংশে সোনালি রং স্প্রে করা হয়েছে।
মুরারীকাটি পালপাড়া পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জীবন কুমার ঘোষ বলেন, ৪০তম বছরে এসে এবার ভিন্ন রকমের প্রতিমা করার চেষ্টা করেছি যেন ভক্ত ও দর্শনার্থীদের ভালো লাগে। প্রতিমা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১০০ কেজি চিনিগুঁড়া ধান। প্রতিমাগুলো সোনালি আভা ছড়াচ্ছে। প্রতিমাশিল্পীর সঙ্গে প্রতিমা তৈরির জন্য এক লাখ টাকা চুক্তি ছিল। তবে খরচ হয়েছে লাখ টাকারও বেশি। এ ছাড়া পূজার পাঁচ দিনে তাদের ব্যয় হয়েছে আরও প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
তিনি আরও বলেন, পুরো জেলায় এই প্রতিমার কথা ছড়িয়ে পড়েছে। কয়েক হাজার মানুষ এবার এখানে প্রতিমা দেখতে এসেছিলেন।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা যাতে সকলে শান্তি-শৃঙ্খলার সাথে উদযাপন করতে পারে এজন্য প্রতিটি পূজা মণ্ডপে বাড়তি নজরদারি রাখা হয়েছে। মন্ডপে আনসার, গ্রাম পুলিশসহ পুলিশের কয়েকটি টিম গঠন করা হয়েছে যারা শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।