লিচুর সুবাস বাঁশখালীর জনপদে
মাসুদ পারভেজ
চট্টগ্রাম: প্রচণ্ড গরমে আগেভাগে পাকছে বাঁশখালীর স্থানীয় জাতের লিচু। এখানকার কালীপুরের রসালো লিচু’র কদর রয়েছে সর্বত্র।
এবার ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। চায়না-থ্রি ও চায়না-টু জাতের লিচু ঝুলছে গাছে গাছে।
কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালীতে উপজেলার কালীপুর, পুঁইছড়ি, চাম্বল, জলদী, বৈলছড়ি, সাধনপুরের পাহাড়ি এলাকায় লিচু চাষ হয়। ২০২০ সালে ৬০০ হেক্টর, ২০২১ সালে ৭০০ হেক্টর, ২০২২ সালে ৭২০ হেক্টর, চলতি বছর ৭৬০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে।
প্রতি হেক্টরে বীজের গাছ হয় প্রায় ২২০টি। কলমের নতুন জাতের চারা হয় ২৬০টি।
উপজেলার পুকুরিয়া, সাধনপুর, কালীপুর ও বৈলছড়িতে ৪–৫ কিলোমিটার পাহাড়ি এলাকাজুড়ে সড়কের পাশে, বাড়ির আঙ্গিনায়, পাহাড় ও লোকালয়ের বাগানে গাছে ঝুলছে থোকায় থোকায় লিচু। গাছের সঙ্গে টিন-জাল টাঙিয়ে চলছে পাখির কবল থেকে ফল রক্ষার চেষ্টা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চলতি সপ্তাহেই বাজারে মিলবে মধুমাসের এই রসালো ফল। বাগান মালিকদের সঙ্গে পাইকাররা ব্যস্ত দর কষাকষিতে। অনেক বাগান আগেই কিনে নিয়েছেন স্থানীয় পাইকারী ব্যবসায়ীরা। গত চার বছর ধরে বাঁশখালীতে লিচুর চাষাবাদ বাড়ছে।
কালীপুরের লিচু বাগান মালিক বেলাল উদ্দিন জানান, দুটি বাগানের লিচু পাইকারী ব্যবসায়ীদের কাছে আগাম বিক্রি করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। গত বছর একশ লিচু ২০০-৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এবারও একই দামেই বিক্রি হবে বলে আশা করছি। কালীপুরের লিচুর আলাদা কদর আছে বাজারে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবু সালেক বলেন, বাঁশখালীতে স্থানীয় উন্নত জাতের কালীপুরী লিচু, বোম্বাই, চায়না-থ্রি, মোজাফ্ফরপুরী লিচুর আবাদ বেড়েছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্যান্য মৌসুমী ফলের মতো লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে লিচুর ভালো ফলন হয়েছে। ৪-৫দিনের মধ্যে আগাম জাতের লিচু বাজারে আসবে। এ বছর ৭৬০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হয়েছে। আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে বাগান মালিকদের সহযোগিতা করেছি।