মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ- মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের (সিবিএ) নির্বাচন যথা সময়ে না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সংঘের কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৪৫দিন পূর্বে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা দেওয়ার বিধান থাকলেও সেটি করা হয়নি। সিবিএ’র বর্তমান নেতারা এনিয়ে নানা তালবাহনা করায় বন্দর কর্মচারীদের মধ্যে চরম বিশৃঙ্খলা ও অসন্তোষের সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়ে শ্রম অধিদপ্তরসহ সরকারী বিভিন্ন সংস্থায় অভিযোগও জমা পড়েছে। শ্রম অধিদপ্তরে দেওয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, সর্বশেষ গত ২০২১সালের ১৭অক্টোবর দুই বছর মেয়াদের নির্বাচন হয় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের (সিবিএ)। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সে নির্বাচনে বিজয়ী কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৭অক্টোবর। মেয়াদ শেষ হওয়ার ৪৫দিন পূর্বে সেই কার্যনির্বাহী পরিষদ তফসিল বা নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের সকল কার্যক্রম গ্রহন করবেন। কিন্তু গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচনী তফসিলসহ কোন কার্যক্রম গ্রহণ না করে বর্তমান পরিষদ নির্বাচন না দিতে নানা তালবাহানা শুরু করেছেন। তাতে যথা সময়ে নির্বাচন না হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। আর নির্বাচন না দেওয়ায় বন্দরের কর্মচারীদের মধ্যে চরম বিশৃঙ্খলা ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম পল্টু দাবী করে বলেন, নির্বাচন সরকারীভাবে নিষিদ্ধ, তাই জাতীয় নির্বাচনের পরে হবে। এদিকে সিবিএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস,এম ফিরোজ ও যুগ্ম সম্পাদক মতিউর রহমান সাকিব বলেন, গঠনতন্ত্রে ২৬নম্বর ধারা মোতাবেক ৪৫দিন পূর্বে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করার বিধান থাকলেও বর্তমান পরিষদ এখনও তা করেননি। গত ২সেপ্টেম্বর তফসিল ঘোষণার সময় পার হয়ে গেছে। বর্তমান পরিষদের নেতারা যথা সময়ে নির্বাচন না করতেই এমন তালবাহানা করছেন। তবে নির্বাচন না দেওয়ায় কর্মচারীদের মধ্যে চরম বিশৃঙ্খলা ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এতে সচল বন্দরের উন্নয়ন গতিধারা ব্যাহত হবে বলেও জানান তারা। তাই অবিলম্বে নির্বাচন দেওয়ার দাবী জানিয়ে তারা আরও বলেন, এর ব্যতিক্রম হলে বিক্ষোভ সমাবেশসহ নানা আন্দোলন করে সিবিএ ভবন তালাবদ্ধ করে দেওয়া হবে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছেন স্বীকার করে রেজিষ্টার্ড অব ট্রেড ইউনিয়ন বিভাগীয় শ্রম দপ্তর খুলনার পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের কার্যনির্বাহী পরিষদই যথা সময়ে নির্বাচন দিবেন। এটা তাদের দায়িত্ব। শ্রম দপ্তর এই নির্বাচনে আইনগত সকল কার্যক্রমের তত্বাবধায়ন করবেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে যথা সময়ে নির্বাচন দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।