মোংলায় হামলার বিচার দাবীতে ডাক্তার-নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধন।
মোঃ হাফিজুর রহমান বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি||
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকসহ অন্যান্য সেবাদানকারীদের উপর নারকীয় হামলা, সরকারি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, এম্বুলেন্স, জরুরী বিভাগ সহ অন্যান্য সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর ও বিনষ্টকরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ শাহীন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, মেডিকেল অফিসার ডা. স্বরূপ পোদ্দার, ডা. মৌসুমী ইয়াসমিন, ডা. আফসানা নাঈমা হাসান, নার্সিং সুপারভাইজার, নার্সিং ইনচার্জ, সিনিয়র স্টাফ নার্স, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব), মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ডেন্টাল) ফার্মাসিস্ট, স্টোর কিপার, প্রধান সহকারিসহ হাসপাতালের অন্যান্য কর্মচারীরা।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুরের ৪ নম্বর বাংলাবাজার রাংপানি এলাকায় প্রাইভেট কার পুকুরের পানিতে ডুবে চার তরুণ মারা যান। দুর্ঘটনার পর শুক্রবার রাতে চারজনকে উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন স্থানীয় লোকজন। চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে হাসপাতাল ও স্টাফ কোয়ার্টার ভাঙচুর করেন।
এ সময় হাসপাতালের পার্কিংয়ে থাকা সরকারি জিপ গাড়িতে আগুন ও অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। নিহত চারজনই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তবে তাঁদের কোনো পদ ছিল না।
এ ঘটনায় গত শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সালাহ্উদ্দিন মিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্রলীগ কর্মী নেহাল পালের বাবা রনদিপ পাল বাদী হয়ে জৈন্তাপুর থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন।