নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
তার ক্যারিয়ারে ২৪৫টি ওয়ানডের মধ্যে ১১৭টিতেই চার নম্বরে ব্যাটিং করেছেন। আর দ্বিতীয় সর্বাধিক ৫৩ বার মুশফিকের ব্যাটিং পজিশন ছিল ছয়।
এবার দীর্ঘ দিন পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মুশফিককে ৬ নম্বরে খেলানো হয়েছে। মুশফিক দুটি ইনিংসে ছয়ে খেলে ১৬৫-এর বেশি স্ট্রাইকরেটে (প্রথম ম্যাচে ১৬৯.২৩ স্ট্রাইকরেটে ৪৪, পরের ম্যাচে ১৬৬.৬৬ স্ট্রাইকরেটে ১০০) ব্যাট করেছেন।
তার সহজাত ব্যাটিংশৈলি বাদ দিয়ে অনেক বেশি হাত খুলে খেলেছেন। অন্য সব পজিশনে সেট হতে সময় নেন অনেক। এবার আর তা করেননি। উইকেটে গিয়ে চট জলদি মারতে শুরু করেছেন।
আর তাতে শুধু তার নিজের ব্যাট খোলা তরবারি বনে যায়নি, ৫০ ওভর শেষে বাংলাদেশের স্কোরলাইনও হয়েছে আগের যে কোন সময়ের চেয়ে দীর্ঘ। তাই সবার মুখে মুশফিককে ছয় নম্বরে খেলানোর প্রশংসা।
অনেকের কৌতুহলী প্রশ্ন, আসলে মুশফিককে কার বুদ্ধিতে এবং কি ভেবে চার নম্বর থেকে পিছিয়ে ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে পাঠানো? আজ বৃস্পতিবার সিলেটে সিরিজ শেষে সে কৌতুহলী প্রশ্নর জবাব দিয়ে দিয়েছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
তামিম জানান, ‘শেষ সিরিজে (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে) আমি আর কোচ মিলে ঠিক করেছি মুশফিককে আমরা ছয়ে খেলাব।’
কারণ কী? মুশফিক কি চারে ভালো খেলছিলেন না? তার ট্র্যাক রেকর্ড কি ওই পজিশনে খারাপ? তামিমের ব্যাখ্যা, ‘তার (মুশফিকের) চারে খেলানোর বিপক্ষে কিছু নেই। সে সেখানে দারুণ খেলেছে। কিন্তু তাকে ছয়ে নামানোর কারণ, আমরা কখনও কখনও ভালোভাবে শেষ করতে পারি না। তার অনেক অভিজ্ঞতা আছে। তার হাতে শট আছে। সেটা সে তার দুই ইনিংসে দেখিয়েছেও। সেটাই কারণ ছিল।’
তামিম মনে করেন, খেলার শেষ দিকে ওভার কম থাকলে মুশফিক আরও বেশি আগ্রাসী ও আক্রমণাত্মক হয়ে খেলেন। তাই ছয়ে খেলানোর সিদ্ধান্ত।
তামিম বলেন, ‘মুশফিক আমার মনে হয় তার হাতে কম ওভার থাকলে আরও বেশি আগ্রাসী হয়ে যায়। ভাগ্য ভালো, বিষয়টা কাজে দিয়েছে। সে অবিশ্বাস্যভাবে ভালো খেলেছে।’
ওয়ানডে অধিনায়ক যোগ করেন, ‘ও যদি এটা ক্যারি করতে পারে, তাহলে আমাদের জন্যই সম্ভাব্য সেরা বিষয় হবে সেটা। কারণ, ছয়ে ব্যাট করাটা খুবই ট্রিকিও হতে পারে। সবসময় ভালো শুরু হবে না। ১০০ রানে ৪ উইকেট, এমন পরিস্থিতিতেও তাকে এসে ব্যাট করতে হবে। ওপেনিং পজিশনটা বাদ দিলে এটা ব্যাট করার জন্য সবচেয়ে কঠিন জায়গা।’