পাবনা জেলা প্রতিনিধিঃ
পাবনায় সদর উপজেলার ভাঁড়ারা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ‘মুজিব শতবর্ষে’র আশ্রয়ণ প্রকল্পরের ৬০টি ঘর ভেঙে লুটতরাজ করেছে দুর্বৃত্তরা। ভুক্তভোগী পরিবার গুলো ঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করেছেন।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সারাদেশে ভূমিহীনদের জমিসহ এই ঘরগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় পাবনা সদর উপজেলার
ভাঁড়ারা ইউনিয়নের পশ্চিম জামুয়া এলাকায় আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমিহীন ৬০টি পরিবারকে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়।
সাধারণ ছাত্রজনতার
আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেই জায়গার ওপর নজর পড়ে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্রের। তারা আশ্রয়ন প্রকল্পের জায়গাটি নিজেদের বলে দাবি করে।
এবং সরকার পরিবর্তনের সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে
গত ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে রাতের আঁধারে আশ্রয়ণ প্রকল্পরের বাসিন্দাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘর ছাড়তে বাধ্য করে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। গুড়িয়ে দেয়া হয় আশ্রয়ণ প্রকল্পের সবগুলো ঘর।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের এক বাসিন্দা বলেন, ‘রাতে মুখে কাপড় বেঁধে এসে বলে তাড়াতাড়ি চলে যা। আমাদের মারধর ও ঘর ভাঙচুর লুটতরাজ করতে থাকে। আমরা প্রাণের ভয়ে ঘর ছেড়ে চলে আসছি। পরে আশ্রয়ণ প্রকল্প ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছি।
তবে ওই জায়গায় একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়ে পাবনা সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা চলমান আছে দাবি করেন স্থানীয় আকরাম প্রামাণিক, উম্মত প্রামাণিক, আক্কাস প্রামাণিক ও ইসমাইল প্রমাণিক।
ভাঁড়ারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ খান বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের
সার্বিক বিষয়ে আমি বারবার প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।’
এ বিষয়ে পাবনার জেলা প্রশাসক,
মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।