বাবুল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা, স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, বর্ণাঢ্য আয়োজন ও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিয়ে আজ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় জাতীয় যুব দিবস -২০২৩ পালিত হয়। উপজেলা প্রাঙ্গণে প্রাকৃতিক পরিবেশে অনুষ্ঠেয় স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম লুৎফর রহমান এর সভাপতিত্বে উক্ত আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে ও ওয়ার্ল্ড ভিশন মুক্তাগাছা এপি’র সৌজন্যে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার রেজাউল করিম জিন্নাহ্, উপজেলা পরিষদের সম্মানিত ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আরব আলী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুর্শিদা আক্তার কাকলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ এমদাদুল হক (যদু), সহকারী কমিশনার (ভূমি) রোমানা রিয়াজ, অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল মজিদ, ম্যানেজার মুক্তাগাছা এপি মিসেস নম্রতা হাউই প্রমূখ। ‘স্মার্ট যুব সমৃদ্ধ দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠেয় উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতির স্বাগত বক্তব্যে স্থানীয় যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আবু আক্তার হোসেন চলতি অর্থ বছরসহ বিগত অর্থ বছরে উপজেলার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যুবক ও যুব মহিলাদের মাঝে ঋণ বিতরণ ও উত্তোলন, বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে প্রশিক্ষণ দান ও কর্মসৃজন, এলাকা ভিত্তিক নিবন্ধনকৃত যুব সংগঠন তৈরিসহ মেধা যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষিত যুব-যুবাদের অধিকতর স্মার্ট, দক্ষতা বৃদ্ধি ও কর্ম সৃজনের লক্ষ্যে সরকারের মহাপরিকল্পনা ও অর্থায়নের উপর আলোকপাত করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের যুবক-যুবতীদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত ও সরকারের প্রশাসন যন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আত্মনির্ভরশীল, কর্মসৃজন, আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, বেকারত্ব দূরীকরণসহ স্মার্ট অর্থনৈতিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তিনি যুব মহিলাদের মেধা দক্ষতা নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের চলমান উন্নয়নে যুবক-যুবাদের আধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি ও অর্থায়ন, কর্মসৃজন, ‘গ্লোবাল ভিলেজ’ বিনির্মাণে অবদান রাখতে সক্ষম। সভাপতির বক্তব্যে একেএম লুৎফর রহমান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজ তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পদার্পনের পথে। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুধামুক্ত,দারিদ্রমুক্ত স্মার্ট ও উন্নত রাষ্ট্রে পদার্পন করবে। এটি একমাত্র দেশের সম্ভাবনাময় মেধাবী যুবক-যুবতীদের আত্মনির্ভরশীল কর্মসৃজনের মাধ্যমেই সম্ভব। অনুষ্ঠান শেষে যুবক-যুবতিদের মাঝে চেক ও প্রশিক্ষণোত্তর সনদ বিতরণ করা হয়। শুধু দিবস পালন নয়, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতিদের বেকারত্ব-হাতাশা ও মাদকাসক্তির বদলে প্রশিক্ষণ, অর্থায়ন ও কর্মসৃজনের মাধ্যমেই স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা।