মোঃ রাশিদুল হাসান জিহাদঃ জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, আনবে দেশে সুশাসন এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে আজ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু সনদ দিবস-২৪ পালিত হয়। উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত দিবসের কর্মসূচিতে ছিলো সকাল ১০:৩০ মিনিটে বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভা। ইউ আর সি’র ইন্সট্রাক্টর এ কে এম মহিউদ্দিন এর সঞ্চালনায় স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মোঃ আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানবীর হায়দার, উপজেলা কৃষি অফিসার সেলিনা পারভীন, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার তানভীর আহাম্মেদ প্রমূখ। পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত ও গীতাপাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া উক্ত আলোচনা সভায় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন পৌরসভার স্বাস্থ্যকর্মী সুমী আক্তার, ইউপি সচিববৃন্দ, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ সাইফুজ্জামান প্রমূখ। স্থানীয় হলরুমে অনুষ্ঠেয় উক্ত দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, মানুষের জন্ম ও মৃত্যু সনদ তার মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করে। তিনি বলেন, জন্মের ৪৫ দিবসের মধ্যে প্রতিটি শিশুর জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করতে হবে, যাতে মাতৃ ও শিশু সেবা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবাসহ সব ধরনের রাষ্ট্রীয় সেবা ভোগ করতে পারে। তিনি বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউপির দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মচারী শিশু জন্মনিবন্ধন রাষ্ট্রীয় তালিকা ভুক্তির কাজে বাড়ি বাড়ি গেলে পিতা-মাতা ও অভিভাবকবৃন্দ অনীহা ও দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেন, যা পরবর্তীতে শিশুর রাষ্ট্রীয় সুবিধা ভোগে প্রধান অন্তরায়। ভবিষ্যতে প্রতিটি মানুষের জন্ম ও মৃত্যুর স্মার্ট কার্ড সংরক্ষণ অথবা বাস্তবায়নে বক্তারা একমত পোষণ করেন। বিশেষ করে স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীদের সুকৌশলের বয়স হেরফেরের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে বাধ্য করা হয়, যা নারী শিশু নির্যাতনসহ যৌতুক ও বাল্যবিবাহে শাস্তি যোগ্য অপরাধ। উক্ত আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে স্থানীয় পৌর পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।