স্টাফ রিপোর্টারঃ ‘তোমরা আমার বাবা’কে ফিরিয়ে দাও’ ‘কী অপরাধ ছিলো আমার ছেলের?’ ‘আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ কী?’ ‘চা খাইতে না গেলে ভাই হারাতে হতো না’ এমন আবেগতাড়িত প্রশ্ন আর আকুতিতে শুধু মুক্তাগাছার আকাশ- বাতাস ভারী নয়, প্রত্যক্ষদর্শী সাধারণ মানুষের চোখে মুখে ছিলো বিষাদের ছাপ! শৈশবে মা হারা, ব্যক্তিজীবনে আওয়ামী সংগঠনের সক্রিয় সদস্যের পাশাপাশি সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে একজন দায়িত্ববান সন্তান, ভাই, স্বামী ও বাবার নাম আসাদুজ্জামান আসাদ (৩০)। গত ২৮ আগষ্ট’২৩ দিনশেষে বাড়ি ফেরার পথে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা পৌর এলাকার আটানি বাজার মোড়ে চা আড্ডারত অবস্থায় রাত আনুমানিক ৮:৩০ মিনিটের দিকে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত একদল দুর্বৃত্তের অতর্কিত হামলা ও উপর্যুপরি আঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে ওই রাতেই মচিমহা’য় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে হার স্বীকার করেন ২ স্ত্রী’র স্বামী ও ৪ সন্তানের হতভাগ্য বাবা আসাদ। তার করুণ মৃত্যুতে কাতর ও ফুঁসে উঠা পরিবার সদস্য, স্বজন-প্রতিবেশী, রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও নেতৃবৃন্দ পরদিন (২৯ আগষ্ট’২৩) আসাদ হত্যার বিচার দাবিতে সড়ক অবরোধ ও কফিন মিছিল করেন। মৃত্যু সংবাদের অব্যবহিত পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন, আসাদ পরিবার, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও প্রেস এর সাথে কথা বলে অনতিবিলম্বে হত্যায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ প্রদান ও হত্যাকারী যেই হোক ছাড় পাবে না বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী সন্দেহ ও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনার পরপরই ১/ রাজিব হোসেন (৩০), পিতাঃ হাজী আঃ রশিদ, ২/ মোঃ শহীদুল ইসলাম (৪৫), পিতামৃতঃ লোকমান
আলী উভয় সাকিন- তারাটি পূর্বপাড়া, থানা- মুক্তাগাছা, জেলা- ময়মনসিংহ, ৩/ মোঃ সামিউল ইসলাম খোকন (৩৯), পিতাঃ ছমির উদ্দিন, সাং- রানাগাছা, থানা- জামালপুর সদর, জেলা- জামালপুর এর কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার ও ফৌঃ কাঃবিঃ ৫৪ ধরায় গ্রেফতার পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদ ও বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে মুক্তাগাছা থানা পুলিশ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ আর কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় নাই। মামলা প্রক্রিয়াধীন।
বিবদমান আওয়ামী রাজনীতি তথা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এহেন নৃশংস হত্যায় ঘৃণা, তীব্র নিন্দা ও বিচার দাবি করেন অভিজ্ঞ মহলসহ ভুক্তভোগী ও সাধারণ জনগণ।