মানিলন্ডারিং মামলায় চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীর ৫ বছর কারাদণ্ড
মাসুদ পারভেজ
মানিলন্ডারিং মামলায় চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীর ৫ বছর কারাদণ্ড
মানিলন্ডারিং মামলায় লিয়াকত আলী নামে এক ব্যবসায়ীর পাঁচ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। রোববার (২ এপ্রিল) বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদ এ রায় দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় একই সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে ৯ কোটি টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ছানোয়ার আহমেদ জানিয়েছেন, রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত লিয়াকত আলী আদালতে হাজির ছিলেন না। তার বাড়ি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানাধীন এস এম চর কাকরা গ্রামে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ব্যাংকের এক কর্মকর্তার যোগসাজশে লিয়াকত আলী, মা সবজি বিতান ও মা ইলেকট্রনিক্স নামে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে চকরিয়া ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের শাখা থেকে ৯ কোটি ২০ লাখ ৬৩ হাজার ৪৬৫ টাকা ঋণ নেন। এরমধ্যে ৯ কোটি ১৯ লাখ ৪৫ হাজার ৩৯২ টাকা তোলেন। পরবর্তীতে তিনি ৮ কোটি ৮৯ লাখ ২৩ হাজার ৪৬৫ টাকা স্থানান্তর করেন। ২০১৩ সালে দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. ওয়াহিদুজ্জামান বাদী হয়ে কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেন লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১৭ সালে লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।