মোঃ রাসেল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি
নেশাখোর ভাইয়ের অত্যাচারে পরিবার নিয়ে ঘরছাড়া বড় ভাই থানায় একটি এজাহার হয়েছে করা হয়েছে।
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা কেরালকাতা ইউনিয়নের দরবাসা গ্রামের সাহাজুল ইসলামের ছোট ভাই আরিজুল ইসলাম,তার স্ত্রী রুমা খাতুন এবং বোন ছালেহা বিরুদ্ধে এজাহার করেন সাজুলের স্ত্রী সাথী খাতুন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গিয়েছে,
মোঃ আরিজুল ইসলাম (৩০) পিং-মোঃ মনিরুদ্দিন সরদার, ২। মোছাঃ রুমা খাতুন (২৮) স্বামী- মোঃ আরিজুল ইসলাম, সাং-দরবাসা, ৩। মোছাঃ ছালেহা খাতুন (৩৬) পিং-মোঃ মনিরুজ্জামান, সাং-মাদরা, সর্ব থানা-কলারোয়া, জেলা-সাতক্ষীরা-দের আজিজুল আমার দেবর, রুমা আমার সম্পর্কে জা এবং ছালেহা আমার সম্পর্কে ননদ। বর্তমানে আমার ভাসুর মোঃ জিয়ারুল ইসলাম বিদেশ আছে। আমার ভাসুর মোঃ জিয়ারুল ইসলামের ইন্দনে উক্ত অভিযুক্তরা প্রায় সময় আমাদের সংসারে অশান্তির সৃষ্টি করে। আরিজুল ইসলাম কথায় কথায় ধারালো অস্ত্রে নিয়ে মারধর করার জন্য আমাদের বাড়ীর উপর তেড়ে আছে। ভয়ে আমরা তাহার কোন প্রতিবাদ করিতে সাহস পায় না। বর্তমানে আরিজুল ইসলামের নির্যাতনে ঐ বাড়ীতে আমাদের বসবাস করা প্রায় অসম্ভব হইয়া পড়িয়াছে। আরিজুল ইসলাম পরিবারের সকলের অমতে একজন বিবাহিত মহিলাকে বিবাহ করে এই নিয়ে আমাদের পরিবারের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। আমার স্বামী একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে আরিজুল ইসলামকে বোঝানোর চেষ্টা করিলে আরিজুল ইসলাম আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হইয়া উঠে। এমতাবস্থায় গত ইং ১৫/০৯/২০২৩ তারিখ বেলা অনুমান ০২.০০ ঘটিকার সময় সকল পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হাতে লোহার রড ও বাঁশের লাঠি সহ অনধিকারে আমার স্বামীর বাড়ীতে প্রবেশ করিয়া অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করিতে থাকে। ঐ সময় অভিযুক্তদের গালি গালাজ করিতে নিষেধ করিলে আমার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া উঠে। তখন ছালেহা খাতুন হুকুম দিলে আরিজুল তাহার হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় আঘাত করিলে আমি মাথা বাম পাশে কাত করার সত্ত্বেও উক্ত আঘাত আমার ডান কাধে লাগিয়া ফোলা জখম হয়। তারপর আরিজুল ইসলাম আমার পেটে লাথি মারিয়া উঠানে ফেলে দিলে রুমা খাতুন ও ছালেহা খাতুন আমার চুলের মুঠি ধরিয়া উঠানে টানা হেচড়া করিয়া এবং বুক পেট পাড়াইয়া ফোলা জখম করে। আরিজুল ইসলাম আমার পরনের কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করিয়া শ্লীলতাহানী ঘটায়। ছালেহা খাতুন আমার গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ওজন ১২ আনা মূল্য ৭৫,০০০/- টাকা টান দিয়ে ছিড়ে নেয়। আমার বাড়ীর মধ্যে থাকা বিভিন্ন জিনিষপত্র ভাংচুর করিয়া অনুমান ৭,০০০/- টাকা পরিমান
ক্ষতি সাধন করে। আমার ডাকচিৎকারে আশে পাশের লোকজন আগাইয়া আসিতে দেখে খুন জখমের হুমকী দিয়ে চলে যায়। সংবাদ পাইয়া আমার স্বামী দ্রুত বাড়ীতে আসিয়া স্থানীয় ডাক্তার দ্বারা আমার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। আমি কিছুটা সুস্থ্য হওয়ার পর বিষয়টি ৮নং কেরালকাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেবকে জানাইলে তিনি বিষয়টি স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু কোন মিমাংসায় না আসিয়া এখনো হুমকী ধামকী প্রদান করিতেছেন যে, তাহারা আমাকে বা আমার স্বামীকে পথে ঘাটে যেখানে পাবে মারপিট করিয়া খুন জখম করা সহ যে কোন মূল্যে আমাদের ঐ বাড়ী হইতে উচ্ছেদ
করিবে। এলাকায় অনেকেই অবগত আছে। এ বিষয়ে মেম্বার সাহাজুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার ভাই এক বিবাহিত নারীকে বিবাহ করলে আমি বিষয়ে ওর পক্ষ না নেওয়াই সে আমাকে নানা ভাবে সমাজে হেনস্তা মানহানি করছে।আমার নানা ভাবে মিথ্যাচার প্রচার করছে। আমাকে মাদক ব্যাবসায়ী সাজাঁনোর চেষ্টা করছে। মেম্বার আরো বলেন আমি যদি একজন মাদক ব্যাবসায়ী হয় তবে কি আমি জনগণের ভোটের জনপ্রতিনিধি হতে পারতাম?আজিজুল এতেও খান্ত না হয়ে সে আমার স্ত্রীর উপরেও হাত তুলেছে।চেয়ারম্যান কয়েক বার মীমাংসার জন্য ডাকলেও তারা কোন মীমাংসায় বসেনি আমাকে নানা ভবে হয়রানির চেষ্টা চালাচ্ছে। আমার বড় ভাই বিদেশ থেকে যে নির্দেশনা দিচ্ছে ঠিক তার নির্দেশনা মোতাবেক আমার মা,বোন, ছোট ভাই আমার বিরুদ্ধে এজাহার করছে। আমার ছোট ভাই প্রায় মদ খেয়ে আমার উপরে হামলা চালানোর চেষ্টা করে আমি তাকে মাদক নিতে মানা করলে সে আমার বাড়িতে কয়েক বার হামলা চালায় বলে দাবি করেন এই মেম্বার। এর আগেও আজিজুল মাতাল হয়ে আমাকে হত্যার জন্য দা নিয়ে আসে সেবার পুলিশ তাকে থানায় ধরে নিয়ে আসে।এখন আমি ও আমার পরিবার জীবন নাশের ভয়েতে বাড়ি ছাড়া। আজিজুল ইসলামের বর্তমান স্ত্রী রুমা খাতুন এর আগের স্বামী জাহাঙ্গীর আলম মৃত পিতা আব্দুল সাত্তার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন আমার স্ত্রীকে আজিজুল ইসলাম ভুলিয়ে ভালিয়ে নিয়ে যায় আরো ৩ ভরি গহনা ও ১ লক্ষ ৪৫ হাজার হাজার টাকা নিয়ে যায় আর এই বিষয়ে তার ভাই মেম্বারের সাথে বললে সে মদ খেয়ে আমার বিভিন্ন ভাবে মারধর করার চেষ্টা করছে এই ভয়তে আমি কিছু বলার সাহস পায় না আমার একটা কন্যা সন্তান আছে ৫ বছর বয়স আমার বাবা-মাকেও বেঁচে নাই আমি খুব অসহায় হয়ে পড়েছি সেই সময় মেম্বার সাহাজুল ইসলাম আমার পক্ষ নিলে সেই থেকে আজিজুল ইসলাম মেম্বার সাহাজুল ইসলামের নামে নানা মিথ্যাপ্রচার করে সমাজের কাছে হেয় প্রতিপূর্ণ করে আসছেন।আমার বিষয় টা নিয়ে আজিজুল ইসলাম মাতাল অবস্থায় মেম্বারকে কুপানোর দা নিয়ে হামলা চালায় যা সমাজের জন্য খুব দুঃখ জনক বিষয়। এই বিষয় তিনি এই অসামাজিক আজিজুলের বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে সাহাজুল ইসলামের স্ত্রী সাথী খাতুন বলেন, আমি অসুস্থ তার পরেও আমার বড়ো ভাশুর এর নির্দেশে আমার দেবর,জা,ননদ আমার উপরে হামলা চালায়। সাথী খাতুন এদের রিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এলাকাবাসী সাংবাদিকদের কে জানান, সাহাজুল ইসলাম একজন জনগণের প্রতিনিধি তার ভাই মাদকাসক্ত এবং এর আগেও পাঁচ পাঁচটি বিয়ে করেছে। ছয় নাম্বার বিয়ে করেছে অন্যের বউকে ভাগিয়ে নিয়ে এসে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে সে তো তার ভাইয়ের পক্ষ নিতে পারেন না।মেম্বার পক্ষ না নেওয়ায় তার বড় ভাইয়ের নির্দেশে আরিজুল তার বোন সালেহা এবং আর আরিজুল এর বর্তমান স্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে এই পরিবারটির উপরে অত্যাচার চালাচ্ছে। এবিষয়ে এলাকাবাসী সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবি তুলেছেন। এবিষয়ে কেরালকাতা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান স ম মোরশেদ আলী ভিপি কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে আমাদের বলেন আমি বিষয়টা শুনেছি এবং জানি। আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে এর আগেও অনেক অভিযোগ উঠেছে।এবারের অভিযোগের দুই পক্ষকে নিয়ে একটি মিমাংসা জন্য কয়েক বার ডেকেছি কিন্তু তারা আমার কথা শুনেনি।তাই সাহাজুল ইসলামের স্ত্রী থানায় একটি এজাহার করেছে বলে জানতে পারি। চেয়ারম্যান আরও বলেন, এক ভাইয়ের জন্য অন্য এক ভাই বাড়ি ছাড়া এটা খুব দুঃখ জনক বিষয়।
কলারোয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহা: মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকের জানান, এবিষয়ে একটি এজাহার হয়েছে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।