মোঃ রাশিদুল হাসান জিহাদঃ লঘুচাপের প্রভাবে সারাদেশের সাথে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছাবাসী নাকাল! উপজেলার পৌরসভাসহ ১০টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল লাগাদার ভারি বর্ষণে প্লাবিত হওয়ায় রোপা আমন, মৎস্য খামার, শীতকালীন সবজি, বরজ, কাচা ঘরবাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভারি বর্ষণে গবাদি পশু, পোল্ট্রি খামারসহ খেটে খাওয়া মানুষ দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে। একদিনের টানা বৃষ্টিতে মুক্তাগাছা শহরের অনেক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। শহরের অনেক এলাকার লোকজন পানি বন্ধি অবস্থায় কষ্ট করে চলাফেরা করছেন। তারা বর্ষার আগেই পানি নিস্কাষনের ব্যবস্থা না করায় পৌর কতৃপক্ষকে দোষারোপ করছেন।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু করে শুক্রবার দিনভর বৃষ্টিপাত হয়। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে মুক্তাগাছা শহরের নন্দীবাড়ি, দরগাহ পাড়, দরিচারআনি বাজার, মহারাজা রোড, বড় মসজিদ রোড, লক্ষীখোলা, ঢলুয়াবিল, এমএন স্কুল রোড, পৌর গোরস্থান ঈদগাহ মাঠ রোডসহ বিভিন্ন এলাকা। অনেক স্থানে রাস্তায় শিশুদের মাছ শিকার করতে দেখা গেছে। সরে জমিনে তদন্তে দেখা যায়, উপজেলার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ঘাটুরী, রাইথোরা, কুড়িপাড়া, জয়রামপুর, চেচুয়া বাজার এলাকার রোপা আমনসহ মৎস্য খামারে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়। ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ, কৃষক ও খামারিদের সাথে কথা বলে জানা যায় দীর্ঘ দিনের পুরনো ঐতিহ্যবাহী নদী আয়মন এর দু'পারে অবৈধ বসতি/প্রতিষ্ঠান স্থাপনে মারাত্মকভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয়, অত্র এলাকার প্রভাবশালী মহল আয়মনের মূল ভূখণ্ড জবরদখল করায় নদী তার আদি ঐতিহ্য হারানোর ফলে অত্র এলাকায় প্রতিবছরই মৎস্য খামারসহ রোপা আমনের ব্যাপক ক্ষতি সাধনের ফলে তৃণমূল কৃষক ও খামারিরা দুর্বিসহ জীবন যাপন করে। এ ব্যাপারে স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অবৈধ বসতি/স্থাপনা প্রতিষ্ঠার কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এবং জলাবদ্ধতার কারণে প্রতিবছর কৃষি অর্থনীতি হুমকির সম্মুখীন হয়। তারা কৃষি উৎপাদনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এহেন অবস্থায় অনতিবিলম্বে সংশ্লিষ্ট উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।