ব্লাস্ট প্রতিরোধে ফকিরহাট কৃষি বিভাগের অভিনব প্রচার
বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি মোঃ হাফিজুর রহমান
বোরো ধানের ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে বাগেরহাটের ফকিরহাটে উপজেলা জুড়ে প্রচার-প্রচারনা চালাচ্ছে ফকিরহাট কৃষি বিভাগ। বোরো মৌসুমে এবার ব্লাস্ট রোগের জন্য সহায়ক আবহাওয়া বিরাজ করায় কৃষি বিভাগ এই রোগ প্রতিরোধে এই প্রচার চালান শনিবার ছুটির দিনে (২৩ মার্চ) উপজেলার বেতাগা, লখপুর, শুভদিয়া, পিলজঙ্গ, মুলঘর, বাহিরদিয়া এলাকার বিভিন্ন বিলে (ব্লকে) উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের ব্লাস্ট ও মাজরা পোকা প্রতিরোধে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করতে দেখা গেছে। এছাড়া শুক্রবার উপজেলার ৩২০টি মসজিদে জুম্মার নামাজের সময় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে লিফলেট বিতরণ করা হয়। মসজিদে ইমাম কর্তৃক কৃষকদের সচেতন করতে প্রচারণা, ইঁদুর মারতে ধান খেতে বৈদ্যুতিক ফাঁদ না দেওয়া, ধানে ব্লাস্ট রোগ হলে কৃষি অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে উপজেলার বিভিন্ন জনাকীর্ণ স্থানে কৃষকদের নিয়ে উদ্ধুদ্ধকরন সভা, সচেতনতামুলক সভা ও প্রজেক্টরের মাধ্যমে ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে। এতে কৃষকেরাও অংশগ্রহণ করে লাভবান হচ্ছেন বলে একাধিক কৃষক এ প্রতিবেদককে জানান।
কৃষি বিভাগ জানায়, ফকিরহাটে এবছর ৮হাজার ৪৬২ একর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। মৌসুমের শুরুতেই বীজ প্রদান করায় আগাম ফসল কৃষেকেরা ঘরে তুলবে। এ অবস্থায় ব্লাস্ট রোগ আক্রমন প্রবন ব্রি-ধান ২৮, ২৯, ৪৮ ইত্যাদি জাতের ধানের দিকে বেশি নজর রাখছে কৃষি বিভাগ। এছাড়াও মৌসূমের শুরুতে ব্লাস্ট প্রতিরোধী ব্রি-ধান ৮৪, ৮৬. ৯২, ৯৬, ৯৭ এবং বঙ্গবন্ধু ধান ১০০, হাইব্রিড এসএল ৮ এইচ ও অন্যান্য হাইব্রিড জাত চাষ করতে কৃষকদের উদ্ভুদ্ধ করা হয়েছিল।
ফকিরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, রাতে ঠান্ড, দিনে গরম আবহাওয়া এবং সকালে কুয়াশা ব্লাস্ট রোগ ছড়িয়ে পড়ার অনুকূল পরিবেশ। এছাড়া হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় নিচু অঞ্চলে কারেন্ট পোকা আক্রমণ করতে পারে। এ পরিবেশে মাজরা পোকাও ব্লাস্ট বংশ বিস্তার করতে পারে। তাই কৃষকদের এ বিষয়ে সচেতন করা ও পরামর্শ প্রদান করতে উপজেলা কৃষি অফিসের সকল স্তরের কর্মকর্তা মাঠে কাজ করছেন। এ কাজে আমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করেছি। রোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। এজন্য আমরা কৃষকের ফসল রক্ষায় ব্যাপক জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। ##