মোঃ বাদল, বিশেষ প্রতিনিধিঃ রক্ষক যখন ভক্ষক, এমন প্রবাদ কে বাস্তবে রূপান্তর করলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করঃ ৫৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগের সভাপতি মো. লিয়াকত আলী মুফতি। তার প্রতারণার ফাদে আটকা পড়েছে হানিফ নামের এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী (অন্ধ) ব্যক্তি।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে ১,৩০,০০০ (এক লক্ষ ত্রিশ হাজার) টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী (অন্ধ) হানিফ অভিযোগে উল্লেখ করে। সে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী অন্ধ তাই স্ত্রী সন্তানদের সাহায্যে বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষা করে সংসার চালাত। সে ভিক্ষা করতে যাতায়াত পথে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ৫৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগের সভাপতি মো. লিয়াকত আলী মুফতির সাথে পরিচয় হয়। প্রতিদিন দেখা সাক্ষাৎ এর ফলে অন্ধ হানিফ এর সাথে মো. লিয়াকত আলী মুফতির সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। যার ফলে একদিন মো. লিয়াকত আলী মুফতি অন্ধ হানিফকে ভিক্ষা ছেড়ে ব্যাবসা করার পরামর্শ দিয়ে জুরাইন আদ-দ্বীন হাসপাতালের পিছনে খালি জায়গা দেখিয়ে দোকান বানিয়ে নিতে বলেন। এর কিছু দিন পর মো. লিয়াকত আলী মুফতি, দেখানো খালি জায়গায় বাঁশ-খুটি দিয়ে দোকান বানিয়ে প্রতিবন্ধী হানিফ হোটেল রেস্টুরেন্ট ব্যাবসা শুরু করে। ব্যবসা ভালো হওয়ায় ভিক্ষা ছেড়ে হানিফ তার স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে সর্বক্ষণ হোটেলে সময় দিত। এর ফলে মাঝে মধ্যে মো. লিয়াকত আলী মুফতি দোকানে হানিফের সাথে কথা-বর্তা ও ফোনে যোগাযোগ করতেন। যার ধারাবাহিকতায় এক দিন সে দোকানে আসে এবং আরো কিছু চেয়ার টেবিল বাড়ালে একত্রে বেশি মানুষ বসে খাওয়া দাওয়া করতে পারবে ফলে বেচা-কেনা বেশি হবে বলে জানালে। হানিফ ব্যাবসা ভালোর আসায় শক্তি এনজিও থেকে মাসিক সুদে টাকা ঋণ নেয়। পরে তাকে হোটেলে আসতে বলে৷ পরের দিন হানিফ তার হোটেলে আসতে বললে সে হোটেলে আসেন। অতঃপর সেখানে হানিফের স্ত্রীর সামনে তার বড় ছেলে মো. জয়নাল আবেদীনের হাত থেকে গুনে ৯০,০০০ (নব্বই হাজার) টাকা মো. লিয়াকত আলী মুফতি বুঝে নেয়।
এর ৮ থেকে ১০ দিন পরে আবারো ৫৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামি-লীগের কার্যালয়ে বসে হানিফ, স্ত্রী ও তার বড় ছেলে মো. জয়নাল আবেদীন, ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) টাকা মো.লিয়াকত আলী মুফতিকে দেয়।এরপর মো. লিয়াকত আলী মুফতি সেই টাকায় হোটেলের জন্য চেয়ার টেবিল কিনে দেয়। হোটেলে চেয়ার টেবিল বাড়ানোর পাশাপাশি হানিফ সহ তার স্ত্রী সন্তান একত্রে দিন -রাত হোটেলে কঠোর পরিশ্রম করে। যার ফলে অল্প কিছু দিনেই হোটেলে বিক্রি বেশি হচ্ছিল। হোটেল ভালো চলায় হানিফ স্ত্রী সন্তান নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করছিল। হঠাৎ একদিন মো. লিয়াকত আলী মুফতি হানিফের হোটেল ব্যাবসা করার পাশাপাশি তার ছেলে মো. জয়নাল আবেদীনকে দিয়ে গাজা বিক্রি করাতে বলে। হানিফ তার প্রস্তাব প্রত্যাখান করে দেয়।এরপর হঠাৎ একদিন সকালে কোন কারন ছাড়া বেশ কয়েকজন লোকজন হোটেলে আসে এবং হানিফকে বলেন,যে কাল থেকে হোটেল বন্ধ থাকবে মো.লিয়াকত আলী মুফতির হুকুম । এরপর হানিফ মো. লিয়াকত আলী মফতির সাথে তৎক্ষনাৎ যোগাযোগ করতে ফোন করে কিন্তু সে রিসিভ করে না। পরে হানিফ সারা দিন দোকানে বিক্রি শেষে রাতে হোটেল বন্ধ করে বাসায় যায় এবং নিয়মিত ভাবে সকালে আবাও দোকান খুলতে এসে দেখন হোটেলের থাকা ভিতরে আসবাবপত্র কোন কিছু নেই। পরে হানিফ দ্রুত বিষয়টি জানাতে মো. লিয়াকত আলী মুফতিকে ফোন দিলে সে হানিফকে তার ৫৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যেতে বলে। পরে হানিফ স্ত্রী সন্তান সাথে নিয়ে দেখা করতে ৫৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয় গিয়ে দেখে হোটেলের চেয়ার টেবিল সহ আসবাবপত্র সব কার্যালয়ের ভিতরে রয়েছে । পরে মো. লিয়াকত আলী মুফতির কাছে হানিফ হোটেল বন্ধ রাখতে বলা এবং তার ছেলেকে দিয়ে গাঁজা বিক্রি করানো ব্যাপারে জানতে চাইলে সে হানিফকে অকথ্য ভাষায় ভাষায় গালি- গালাজ করতে থাকলে হানিফ সেখান থেকে তার হোটেলের মালামাল নিয়ে আসতে চায় তখন তিনি তাকে বলেন তোকে কিছু দেব না। পরে হানিফ মৌখিক ভাবে এলাকার স্হানীয়দেরকে জানালে তখন শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বর্তমান ৫৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিল হাজী মোঃ মাসুদ তার কার্যালয় ঘরোয়া সালিশের মাধ্যমে হানিফ একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী অন্ধ তাই তাকে মানবতার দৃষ্টিতে তাকায়ে অনুদান তাকে অনুদান হিসেবে ৪০,০০০ ( চল্লিশ হাজার টাকা ) দেওয়া হয়।এর কিছু দিন পর হানিফ তার পাওনা বাকি টাকা চাইলে সে হুমকি দিয়ে বলেন যদি বেশি বাড়াবাড়ি করিছ তবে তোকে সহ তোর পরিবার এর সকলকে মাদকের মিথ্যা মামলায় ঝরিয়ে দেব। যার পরিকল্পপিত আলোচনার অডিও কল রেকর্ড সংরক্ষিত আছে।গত ইং- ১৪/৬/২০২২ তাং শ্যামপুর থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি / সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত অভিযোগ করে। যার কোন সুরাহা না পেয়ে পরে গত ইং- ১৫/৪/২০২২তাং ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি / সাধারণ সম্পাদক বরাবর অফিসার ইনচার্জ শ্যামপুর থানা বরাবর, গত ইং-১৫/৭/২০২৩ তাং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র বরাবর, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক বরাবর, এবং দুর্নীতি দমন কমিশন চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করে। যার কোন সুরাহা এখনো পায়নি হানিফ। এরপরে আবার মো. লিয়াকত আলী মুফতি গত কিছু দিন আগে শ্যাপুর থানা এলাকায় সকল ওয়ার্ড ইউনিয়নের ত্রী-বার্ষীক সম্মেলনের হানিফকে দিয়ে জোর করে ১৭,০০০ টাকার ব্যানার পোস্টার করায়।মো. লিয়াকত আলী মুফতির ক্ষমতার অপব্যাবহার ও অত্যাচারে হানিফ তার পরিবাকে নিয়ে আতংকিত জীবন যাপন করা থেকে নিস্তার পেয়ে নিশ্চিন্ত সাধারণ জীবন যাপন করতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী অন্ধ হানিফ ও তার অসহায় পরিবারের আকুল আবেদন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী ও দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।