বাগেরহাটে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত
মোঃ হাফিজুর রহমান (ফকিরহাট)বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
প্রযুক্তির উৎকর্ষে বাংলাদেশ এখন অনেক দূর এগিয়ে গেছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে এখন অনেক কিছুই করা যায় । ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা বাংলাদেশে ডিজিটালাইজেশনে বিশাল ভূমিকা রেখে চলেছে । মানুষ চাইলেই অনেক সেবা এখন ঘরে বসে সহজেই অনলাইনে পেতে পারে । এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সেক্টরে, যেমন- শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও আর্থিক খাতের কার্যক্রম আরও উন্নত পদ্ধতিতে রূপান্তরের পরিকল্পনা করছে এর সাথে দায়িত্বে থাকা কর্তা ব্যাক্তিরা। আগামীতে সারাদেশে স্মার্ট সিটি ও স্মার্ট ভিলেজ গড়ে তোলা হবে। আর স্মার্ট সিটি ও স্মার্ট ভিলেজ বাস্তবায়নের জন্য স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা, স্মার্ট ট্রান্সপোর্টেশন, স্মার্ট ইউটিলিটিজ, নগর প্রশাসন, জননিরাপত্তা, কৃষি, ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে। তবে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হলো সাইবার নিরাপতত্তা নিশ্চিত করা। ইতোমধ্যেই প্রতিনিয়তই
সাইবার হামলার শিকার হয়ে আমাদের অনেকের জীবন পরিচালনায় ছন্দপতন লক্ষ দেখা যায়। পত্রিকা খুললেই আমরা অনেক নেতিবাচক খবর দেখতে পাই আর এই বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে বাগেরহাটে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতামূলক
ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৭ ই অক্টোবর) সকালে রামপাল সরকারী ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে, এ্যাক্টিভিস্টা বাগেরহাট ও রামপালের উদ্যোগে এবং
বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থা ও একশনএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় একশন ফর ট্রান্সফরমেশন প্রকল্পের আওতায় এটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অন্যন্যদের মধ্যে
উপস্থিত ছিলেন বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থার এফোরটি প্রজেক্টের প্রজেক্ট অফিসার সানি জোবায়ের, এ্যাকশন এইড বাংলাদেশের ইন্সপিরেটর সিদরাতুল
মুনতাহা, সাইবার এক্সপার্ট মাহফুজ মাঝি, ফাহিমুজ্জামান, অর্নব মন্ডল, আফসানা মিম, প্রতিভা রয়সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সাইবার ক্রাইম এর শিকার হয়েছেন এমন অর্ধশতাধিক নারী ও পুরুষ সরাসরি উপস্থিত হয়ে সাইবার সমাধান বুথ থেকে সেবা গ্রহন করেন। এ সময় মাহিয়া মাহি
নামের এক নারী বলেন, আমার ফেসবুক হ্যাক করে বিভিন্ন ধরনের ছবি শেয়ার করে আমাকে ব্লাকমেইল করে আসতেছিল। আজ আমাদের কলেজে সাইবার এক্সপার্ট টিম আসে এবং বুথ তৈরি করে অনেকের সমস্যা সমাধানে কাজ করছে । আমার সমস্যার সমাধান হওয়ায় অমি অনেক খুশি
।