বাগেরহাটে আবাসিক হোটেল জারিফ থেকে হাত বোমা সহ বিএনপির নেতা-কর্মী আটক।
মোঃ হাফিজুর রহমান বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি :
বাগেরহাটে ০৬টি তাজা হাতবোমা সহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের ১৮ নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে সেনাবাহিনী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার গভীর রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার খানজাহান আলী (রহ.) মাজারের পাশের আবাসিক হোটেল জারিফ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকালে বাগেরহাট সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) গৌতম কুমার মন্ডল বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছেন। উক্ত মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।গ্রেফতারকৃতরা হল বাগেরহাট পৌর শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি শ্রমিক দল নেতা মো. আবুল কাসেম সেলিম ভূঁইয়া, তার ছেলে মোস্তফা কামাল সাব্বির ভূঁইয়া, ছোট ভাই মো. আজিম ভূঁইয়া, মো. সাগর হাসান, তুফান হাওলাদার, মো. মনি হাওলাদার, মো. নাইম মোল্লা, আরিফ হাওলাদার, রাজু মোল্লা, শাকিব আহম্মেদ রাজ, মো. সাজিদ, নিমাই সরকার, সিরাজুল শেখ, মো. মাশুক, মো. মিলন শিকদার, রবিউল সরদার, মো. ইয়াসিন আরাফাত ও মো. শাহীন ওরফে অভি শেখ। এদের বাড়ি বাগেরহাট পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায়।বাগেরহাট পৌর শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি মো. আবুল কাসেম সেলিম ভূঁইয়া ও তার ছোট ভাই মো. আজিম ভূঁইয়া গত মার্চ মাসে বাগেরহাট পৌর যুবদল নেতা জসিম সরদারের ওপর হামলা মামলার এজাহারনামীয় আসামি। সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উল-হাসান জানান, সোমবার গভীর রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার খানজাহান (রহ.) মাজারের পাশের একটি আবাসিক হোটেল জারিফে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে ছয়টি হাতবোমাসহ ১৮ জন দুষ্কৃতিকারীকে আটক করে। পরে সেনাবাহিনী পুলিশে খবর দিলে পুলিশ সেখানে গিয়ে তাদের হেফাজতে নেয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে শ্রমিক দল নেতা সেলিম ভূঁইয়া, তার ছেলে সাব্বির, ছোট ভাই আজিম রয়েছে। বোমাগুলো পানিতে ভিজিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে উপপরিদর্শক (এসআই) গৌতম কুমার মন্ডল বাদী হয়ে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন। আটক হওয়া শ্রমিক দল নেতা সেলিম ও তার ছোট ভাই আজিম গত মার্চ মাসে শহরের বাসাবাটি এলাকায় যুবদল নেতা জসিম সরদারের ওপর হামলার মামলার এজাহারনামীয় আসামি। সন্ধ্যায় তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরা সবাই বিএনপি দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থক বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।গ্রেফতারকৃতদের বিষয়ে জেলা বিএনপি'র পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নাই।