পাবনা প্রতিনিধি:
দলের নির্দেশনা অমান্য করে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন পাবনার ফরিদপুর উপজেলা বিএনপির দুই নেতা নাসরিন পারভীন মুক্তি ও জিয়াউর রহমান জিয়া । মুক্তি উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও জিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য। দলের নির্দেশনার বাইরে গিয়ে নির্বাচন করায় সেসময় দল থেকে তাদেরকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। দলের বহিষ্কারাদেশ নিয়ে শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে লড়ে পরাজয় বরণ করেন তারা। এরপর থেকে তাদেরকে আর দলে ফেরার কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। দেখা যায়নি দলের কোন সভা-সমাবেশে।এ অবস্থায় গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর নড়েচড়ে বসেন বহিস্কৃত ওই দুই নেতা। দলের পদ বাগিয়ে নিতে এখন নিয়মিত সভা-সমাবেশে অংশ গ্রহণ করছেন তারা। দলের ত্যাগী নেতারা মঞ্চে জায়গা না পেলেও বহিস্কৃত মুক্তি-জিয়া এখন বসছেন প্রথম সারিতে। আর দলের নির্দেশনা ছাড়াই বহিস্কৃত ওই দুই নেতাকে নিয়ে রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালানোর অভিযোগ ওঠেছে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জহুরুল ইসলাম বকুলের বিরুদ্ধে। নেতাকর্মীদের অভিযোগ, নিজের হাতকে শক্তিশালী করতে বিএনপি নেতা জহুরুল ইসলাম বকুল দলের বহিস্কৃত নেতা ও আওয়ামী লীগের সমর্থকদের মাঠে নামিয়েছেন। দলের দুর্দিনে যারা পাশে ছিলেন,জেল খেটেছেন তাদেরকে কোন মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল হাকিম খান অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি নেতা বকুল দলের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে বহিস্কৃত নেতা ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের নিয়ে দলের সভা-সমাবেশ করছেন।এছাড়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অমান্য করে এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজার,পুকুর ও জমি দখল করে চলেছেন। যা দলকে জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি । এ অভিযোগের বিষয়ে ফরিদপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জহুরুল ইসলাম বকুল বলেন,তারা এক সময় দলের নেতা ছিলো,বহিস্কার হয়েছে,প্রত্যাহার হয়ে যাবে,সমস্যা কোথায়?তারা দলে ছিলো,আগামীতেও থাকবে।