ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের কাইচাইল গ্রামে এক রাতেঁ ৭ বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। ২৫ মে বৃহস্পতিবার রাতেঁ কাইচাইল গ্রামের নুরুমিয়া,সমশের মাস্টার ,কান্ছু মিয়ার ,আব্দুল হাই,মোশা মোল্রা,বকুল তালুকদার, জাহিদ মিয়ার বাড়িতে চুরি হয়। চুরি হওয়া বাড়িগুলোর লোকজন অনেকেই বাড়ি থাকেন না বলে স্থানীয় লোকজন জানান। কেউ পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন কেউবা থাকেন ফরিদপুর।চুরি হওয়া নুরুমিয়ার বাড়িতে গিয়ে জানা যায় তার ছেলে রহুল আমিন চাকরি করেন বাড়িতে ছেলের বউ থাকেন সে তার বাবার বাড়ি বেড়াতে গেলে সেই রাতেঁ তার ঘরের দরজার তালা ভেঙে ঘরে চোর ঢুকে চুরি করে।রুহুল আমিন এর স্ত্রী তহমিনা ঘর চুরির খবর পেয়ে বাড়িতে আসে এবং সে বলেন আমি বাবার বাড়ি বেড়াতে গেছি এই সুযোগে চোরের দল আমার ঘরের দরজার তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে প্রতিটি রুমের দরজার তালা ভেঙে সুকেচ,আলমারির ড্রয়ার ভেঙে নগদ ২ হাজার টাকা ও ৭ /৮ ভরি সোনার গহনা সহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।৭ বাড়ি থেকে টাকাপয়সা, স্বর্ন গয়না সহ মুল্যবান জিনিসপত্র চোর চক্রের সদস্যরা হাতিয়ে নেয়।চোরদের টার্গেট ফাঁকা বাড়ি যারা চাকরির সুবাদে বাড়ি ছেড়ে পরিবার নিয়ে শহর- বন্দরে রয়েছেন সে সকল বাড়িতেই রাতেঁর আঁধারে চুরি হচ্ছে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। বর্তমাণে চোরেরা অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে স্বল্প সময়ের মধ্যেই চুরির মিশন শেষ করছে।তবে ডিজিটাল যুগে বিভিন্ন স্হানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করায় চুরি কমে গেছে।এলাকায় চুরি বেড়ে যাওয়ায় বাড়ির লোকজন চোর আতংকে রয়েছে। স্থানীয় লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন যে প্রতিটি গ্রামে রয়েছে একজন করে গ্রাম পুলিশ। সে সকল গ্রাম পুলিশ চেয়ারম্যানদের অফিসে চা আপ্যায়নে ব্যস্ত থাকে রাতেঁর বেলায় দেখা যায়না গ্রামের আনাচে কানাচে কোথাও।তবে মাস শেষে সরকারি টাকা সহ বিভিন্ন সুবিধা তারা ভোগ করছেন।