ফকিরহাটে স্বামী পরিত্যক্তা এক নারী কে ধর্ষণের অভিযোগ।
মোঃ হাফিজুর রহমান
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার স্বামী পরিত্যক্ত এক নারী কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ঐ নারী নিজে বাদী হয়ে বাগেরহাট আদালতের শরনাপন্ন হয়েছেন।
গত ৩১ মে মনিরুজ্জামান মোড়ল ওরফে হিমু মোড়ল (৪৫),পিতা আঃ রশিদ মোড়লগ্রাম পিলজং ফকিরহাট বাগেরহাট কে আসামী করে মোকাম বাগেরহাট বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ আদালতে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন স্বামী পরিত্যক্তা ঐ নারী । যা বিজ্ঞ আদালত অভিযোগটি আমূলে নিয়ে বাগেরহাট পিবিআই এর উপর তদন্তভার দিয়েছেন।
অভিযোগে জানাযায় , গত ১৫মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রকৃতির ডাকে ঘরের বাইরে আসেন ঐ নারী । এসময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা একই এলাকার মনিরুজ্জামান মোড়ল ওরফে হিমু মোড়ল মূখ চেপে ধরে,অস্রের ভয়ভিতি দেখিয়ে ঘরের পাশের সুপারীর বাগানে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে । লোক লজ্জার ভয়ে রেবা কাউকে কিছু বলেনি। পরবর্তীতে ফকিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানালে তিনি মামলার জন্য থানায় যেতে বলেন, ঐ নারী থানায় গেলে ফকিরহাট থানা পুলিশ মামলা নিতে অনিহা প্রকাশ করলে ঐ নারী মো. মনিরুজ্জামান মোড়ল ওরফে হিমুর নাম উল্লেখ করে বাগেরহাট আদালতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ধর্ষনের শিকার ঐ নারী জানান, গত ১৫মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রকৃতির ডাকে ঘরের বাইরে আসেন ঐ নারী । এসময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা একই এলাকার মনিরুজ্জামান মোড়ল ওরফে হিমু মোড়ল মূখ চেপে ধরে,অস্রের ভয়ভিতি দেখিয়ে ঘরের পাশের সুপারীর বাগানে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে । ধর্ষনের পর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে এ ঘটনা কাউকে না জানানোর কথা বলে চলে যান হিমু।কয়েকদিন পরে বিয়ের কথা বললে,হিমু বিয়ে করতে রাজি না বলে জানিয়ে দেন এবং কিছু টাকা দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চান হিমু। লোক লজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলিনি। পরবর্তীতে ফকিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানালে তিনি মামলার জন্য থানায় যেতে বলেন, ঐ নারী থানায় গেলে ফকিরহাট থানা পুলিশ মামলা নিতে অনিহা প্রকাশ করে। উপায় না পেয়ে বাগেরহাট আদালতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করায় বর্তমানে নানান হুমকির মধ্যে রয়েছেন বলে জানান ভুক্তভোগি ঐ নারী।
পিবিইএর পুলিশ সুপার আঃ রহমান বলেন, রেবা আক্তারের দায়েরকৃত মামলার তদন্ত আদালত পিবিআইএর কাছে দিয়েছে দ্রত তদন্ত শেষে আদালতে রিপোর্ট দাখিল করবো।