ফকিরহাটের ফলতিতা মৎস্য আড়তে বেনামী চিংড়ি মাছের পোনা বিক্রির নামে অন্য মাছের পোনা বিক্রির অভিযোগ।
অতনু চৌধুরী(রাজু) বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ফলতিতা মৎস্য আড়তে বেনামী চিংড়ি মাছের পোনা বিক্রির নামে অন্য মাছের পোনা বিক্রির সময় প্রায় ৩ লাখ পোনা জব্দ করা হয়েছে। পরে জব্দ পোনা কালীগঙ্গা নদীতে অবমুক্ত করা হয়। শনিবার (১২ আগস্ট) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট হিটলার গোলদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন
এ বিষয়ে মৎস্য চাষিরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি সিন্ডিকেট বেনামী চিংড়ি মাছের পোনা বিক্রির নামে ভিন্ন মাছের পোনা বিক্রি করে আসছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় মৎস্য চাষিরা।
শনিবার সকালে উপজেলার ফলতিতা মৎস্য আড়তে এক ব্যক্তি ওই ভিন্ন মাছের পোনা বিক্রির সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ মৎস্য চাষি ও মৎস্য ব্যবসায়িরা প্রায় ৩ লাখ মাছের পোনা জব্দ করে। এসময় মাছের পোনা বিক্রি করতে আসা ওই ব্যক্তি দ্রুত দৌড়ে একটি চলন্ত বাসে উঠে পালিয়ে যায়। পরে জব্দ ওই মাছের পোনা ফলতিতা কালীগঙ্গা নদীতে অবমুক্ত করা হয়।
এসময় ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট হিটলার গোলদার, উপজেলা মৎস্য বিভাগের মাঠ সহায়ক কর্মী শেখ সাব্বির আহম্মেদ শুভ, কমলেশ দাশ, থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সাহাবুর রহমানসহ স্থানীয় মৎস্য চাষি ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট হিটলার গোলদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি সিন্ডিকেট বেনামী চিংড়ি মাছের পোনার কথা বলে ভিন্ন মাছের পোনা বিক্রি করে আসছে। এদিন ওই ব্যক্তি পোনা বিক্রি করতে আসলে তাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। এসময় সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে উপজেলা মৎস্য বিভাগের লোকজন এসে মাছের পোনা শনাক্ত করেন। এরপর তা সকলের উপস্থিতিতে নদী অবমুক্ত করা হয়।