আমি তসলিম হাসান খান সুইট। ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সাথে দারুণভাবে সম্পৃক্ত। পূর্বে পাবনা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। দলের দুর্দিন ও অদ্যাবধি দলের কর্মী হিসেবে রাজনৈতিক অঙ্গনে সর্বোচ্চ সরব ভূমিকা পালন করে আসছি।
সম্প্রতি দেশের জাতীয় ও স্থানীয় কয়েকটি দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে আমার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ এনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সকলের জ্ঞাতার্থে জানাতে চাই, ১৭৭০৪ নং রেজিস্ট্রি দলিলমূলে সাবেক মালিক মো. ছাব্বিরুল ইসলামের নিকট থেকে ক্রয়সূত্রে উক্ত জমিটির মালিক বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান খানের সহধর্মিনী ও আমার মা মোছা. রওশনারা খাতুন। যেটি ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর রেজিস্ট্রি করা হয়। অদ্যাবধি উক্ত জমির খাজনা ও খারিজ হালনাগাদ সম্পন্ন রয়েছে। আমি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান খান ও মোছা. রওশনারা খাতুনের মেজো সন্তান। পূর্বে উক্ত জমির মালিকানা দাবি করে এস.এম ওবায়দুল্লাহ ও মো.রইস আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন। যার মামলা নং ৫৮/২০২০। উপযুক্ত কাগজপত্রাদি দাখিলে ব্যর্থ হলে ২০২০ সালের ৪ নভেম্বর কোর্ট ওই মামলাটি খারিজ করে দেন। সম্প্রতি জমিতে থাকা দোকানপাট মেরামতের কাজে হাত দিলে এস.এম ওবায়দুল্লাহ ও মো. রইস সহ একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে ভুল তথ্য দিয়ে সাংবাদিক মহলকে বিভ্রান্ত করে আমার রাজনৈতিক মর্যাদাকে নষ্ট করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছেন। যদিও এটি ভূসম্পত্তি বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়, তবুও সেখানে আমার রাজনৈতিক পরিচয় তুলে ধরে আমার রাজনৈতিক চরিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সকলের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখতে চাই, উক্ত এস.এম ওবায়দুল্লাহ ও মো. রইস দুষ্টু লোক বলে পরিচিত। ইতোমধ্যে উক্ত জমির মামলার রায় পুর্ণবিবেচনা করতে জেলা সিনিয়র যুগ্ম-জজ মোঃ শিশিরকে মোটা অংকের অর্থের প্রলোভন দেখিয়েছেন । আওয়ামীলীগের আজ্ঞাবহ প্রশাসনের তৎকালীন ওসি কৃপা সিন্ধু বালা, এস.এম ওবায়দুল্লার ভাগ্নে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হাসিবুর রহমান নাসিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য মোতালেব ও এস.এম ওবায়দুল্লার দুলাভাই বালুসম্রাট আফতাবের যোগসাজশে অবৈধভাবে জমিটি দখল নেওয়ার জন্য পূর্বের মালিক মো. ছাব্বিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মূলত এস.এম ওবায়দুল একজন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও তার ভাই রইস ভয়ংকর মাদকসেবী। ২০০৮ সালে ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনা করার দায়ে ঢাকার নীলক্ষেত থানার মামলায় নারী সহযোগীসহ গ্রেফতার হয় এস.এম ওবায়দুল্লাহ। মাদক মামলায় জেল হাজতও খেটেছেন। আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতাদের যোগসাজশে অবৈধ ব্যবসা করে বেশ অর্থবিত্তের মালিক হবার মধ্য দিয়ে ব্যাপক প্রভাবশালী হয়ে উঠেছেন ওবায়দুল্লাহ। মূলত সেই প্রভাব খাটিয়েই আমার বিরুদ্ধে এরকম ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।