পুলিশের ওপর হামলা করার মামলায় ঝালকাঠি জেলা বিএনপির ১৪ নেতাকর্মী কারাগারে
সফিকুল ইসলাম হিরু ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠিতে পুলিশের ওপর হামলার করার মামলায় সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও নলছিটি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ১৪ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে ঝালকাঠির চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পারভেজ শাহরিয়ার এ আদেশ দেন। আসামী পক্ষের আইনজীবীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবীরা জানান, বিএনপির ২২ নেতাকর্মী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনাবেদন জানালে আদালত জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন ও সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেনসহ ৭ জনের জামিন মঞ্জুর করেন। মামলার বাকি ১৪ জনকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো নেতাকর্মীরা হলেন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এজাজ হাসান, নলছিটি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম গাজী, যুবদলের আহ্বায়ক শামীম তালুকদার, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল হোসেন তুহিন, বিএনপি নেতা চন্দন পোদ্দার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম লিটন, সাধারণ সম্পাদক সরদার সাফায়াত হোসেন, ছাত্রদলের সভাপতি আরিফুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক গিয়াস সরদার দিপু, তাঁতি দলের সভাপতি বাচ্চু হাসান খান, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম, ইয়াসির আরাফাত মিঠু, সাদ্দাম হোসেন এবং আতিকুর রহমান খালেক।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টার দিকে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত পদযাত্রার কর্মসূচি পালন কালে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াসহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ বিএনপির কার্যালয় থেকে জেলা যুবদলের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমানসহ ১৬ নেতাকর্মীকে আটক করে।
অপর দিকে সদর থানার পরিদর্শক ফিরোজ কামালসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়। এ অভিযোগে পুলিশের এসআই দেবাশীষ মোদক বাদী হয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামসহ বিএনপির ২২ নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে জেলা বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন পুলিশের লাঠিচার্জে বিএনপির ২০ নেতাকর্মী আহত হয়। এ ঘটনায় উল্টো পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করে। ঈদের আগমুহূর্তে নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপির এই নেতা।