আরিফ খান জয় বিশেষ প্রতিনিধি:
পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নের দীঘুলিয়া গ্রামের চাঞ্চল্যকর মা ও শিশু সন্তান হত্যার জোড়া খুনের রহস্য উদঘাটন ও ০৩ জন আসামি গ্রেফতার এবং মালামাল উদ্ধার করেছেন পাবনা জেলা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ১ ফেব্রুয়ারি ১২:০০ ঘটিকার সময় পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পাবনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী ।
পুলিশ সুপার জানান,
মালয়েশিয়ান প্রবাসী আব্দুর রশিদ দীর্ঘ ০৭ বছর যাবত দেশের বাইরে থাকেন। তিনি বাড়ি নির্মাণের জন্য তার স্ত্রী লাবনী খাতুন এর কাছে বিদেশ থেকে নগদ অর্থ পাঠায়। লাবনী খাতুন ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে ২৫,০০০ হাজার ইট ও নগদ অর্থ নিজ বাসায় রাখেন। ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ লাবনী খাতুনসহ ১০ বছরের শিশুসন্তান রিয়াদ রাতে নিজ বাসাতে ঘুমায়। পরের দিন সকালে লাবনীর মৃত্যুদেহ ছাগল রাখার ঘরে ও ১০ বছরের সন্তান রিয়াদের মৃত্যুদেহ বাড়ির সাথে পুকুরের পাশে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় তদন্তের এক পর্যায়ে খুনের রহস্য উদঘাটন ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ০৩ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
একই গ্রামের মোজাম আলি ওরফে মোজাম্মেলের ছেলে আসামি মোঃ হোসেন আলী ( ৩৭)জানান,
উদ্দেশ্য ছিল চুরি, দেখে ফেলায় মা ও শিশুকে হত্যা করা হয়,লাবনী খাতুনের কাছে বিপুল অর্থ ও স্বর্ণালংকার আছে এই ধারণা থেকে তার আপন ছোট ভাই আসামি মোঃ সাদ্দাম হোসেন ( ২৬) সাথে চুরি করার পরিকল্পনা করেন। উক্ত কাজে তাদের পূর্বপরিচিত রাজবাড়ী জেলার সদর থানার খানখানাপুর দত্তপাড়ার মোঃ মোস্তফা মিজির ছেলে মোঃ হুমায়ুন মিজি ওরফে হৃদয়কে (২৮) সাথে নিয়ে কাজ করেন। ২৫ জানুয়ারি রাতে চুরির সময় নিহত লাবনী ও তার সন্তান রিয়াদ টের পাইলে তাদেরকে হত্যা করে ঘটনাটি ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য লাবনীর লাশ ছাগল ঘরে ও রিয়াদের লাশ পুকুর পাড়ে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় রেখে স্বর্ণের চেইন, দুল, স্বর্ণের বালা ইত্যাদি মালামাল নিয়ে পালিয়ে যান।